জি-২০ সম্মেলনে (G20 Summit) যোগ দিতে সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানেরা বৃহস্পতিবার থেকেই দিল্লি আসতে শুরু করেছেন। আজ, শুক্রবার সকালেও পৌঁছেছেন বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে পৌঁছবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সন্ধেয় দিল্লিতে নামবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিমান। জানা গেছে, কিছুক্ষণ আগে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তিনি। শেষ মুহূর্তে দিল্লি সফর বাতিল করেছেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ। তিনি করোনা আক্রান্ত বলে শুক্রবার সকালে জানানো হয়।
জি-২০’র সম্মেলন শনি ও রবিবার। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠছে শুক্রবার থেকেই। শুক্রবার বিকাল থেকে রবিবার দুপুরের মধ্যে ১৫টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, আরও কয়েকটি দেশের তরফে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ভারতের তরফে আপত্তি ছিল না। কিন্তু সময় বের করা যায়নি। বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের তরফে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক সাক্ষাতের আর্জিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
শুক্রবার বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ কুমার জুগনথ। দ্বিতীয় বৈঠকটি হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। বৈঠক থেকেই দুই প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি প্রকল্পের যৌথভাবে উদ্বোধন করার কথা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় বৈঠক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। দুই রাষ্ট্রপ্রধান বৈঠকের পর এক সঙ্গে ডিনার করবেন।
শনিবার সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত থাকবেন জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit) নিয়ে। তার ফাঁকেই ব্রিটেন, জাপান, ইতালি ও জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে লাঞ্চ করার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। তার আগে দু’জনের মধ্য কথা হবে। রবিবার তাঁর বৈঠক করার কথা কানাডা, তুর্কিয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, দক্ষিণ কোরিয়া, নাইজেরিয়া, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর (শনি ও রবিবার) জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আসর বসতে চলেছে নয়াদিল্লিতে। ওই সম্মেলনে এ বার সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জি২০-র সদস্য না হলেও দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসাবে বাংলাদেশ দু’দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। যা দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছনোর দৃষ্টান্ত বলেই ধরছে কূটনৈতিক মহল। পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসাবে দিল্লিতে হাজির থাকবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।