প্রশান্ত কিশোরবিহার ভোট নিয়ে বিরাট দাবি করলেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর মতে, ভোট কারচুপি হয়েছে। কিন্তু কোনও প্রমাণ নেই।
জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর বিহার ভোটের ফলাফল বেরনোর পর থেকেই মৌন ছিলেন। তবে সেই নীরবতা ভেঙেছেন তিনি। আর মুখ খুলেই বিহার নির্বাচন নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। তাঁর মতে, বিহারের ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। কিন্তু সেই কারচুপির কোনও প্রমাণ তাঁর কাছে নেই বলেই জানিয়েছেন প্রশান্ত।
আসলে এই প্রথমবারের জন্য বিহারের ভোটে লড়াই করছিল তাঁর দল জন সুরাজ। আশা ছিল ভাল ফলের। যদিও ভোটের ফল বেরনোর পর বাস্তবের মাটিতে আছাড় খায় সেই ভাবনা। একটিও আসন পায় না জন সুরাজ পার্টি। তারপরই চুপ মেরে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও এখন মুখ খুলেছেন।
এমন অবস্থায় নিজের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে এখনও বড় দাবি করছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি মনে করেন, দারুণ প্রচার করা হয়েছিল। মানুষের প্রতিক্রিয়াও ছিল ভাল। তবে 'কিছু একটা ভুল হয়' বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেন, 'কিছু অদৃশ্য শক্তি কাজ করেছে ভোটে। যেই পার্টিগুলিকে মানুষ চিনতই না, তারাও ১ লক্ষ ভোট পেয়েছে। তাই কিছু মানুষ আমাকে EVM এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে বলছে। ইভিএম-এ কারচুপি হয়েছে বলে দাবি জানাতে বলছে। কেউ হেরে গেলে সাধারণত এই অভিযোগই তোলে। তবে আমার কাছে কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু অনেক কিছুই যোগ হয় না। প্রাথমিকভাবে, মনে হচ্ছে কিছু ভুল হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি না সেটা কী!'
টাকা দিয়েছে NDA
এখানেই থেমে না থেকে প্রশান্ত কিশোর আবার ন্য়াশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা NDA-এর বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে। বিশেষত, মহিলাদের মধ্যে টাকা দিয়ে ভোটকে প্রভাবিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'যে দিন থেকে ভোট ঘোষণা করা হয়, সে দিন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত মহিলাদের কাছে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তবে যেটা দেওয়া হয়েছে, সেটাও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কম। তাদের বলা হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এই ১০ হাজার টাকাটা হল ফার্স্ট ইনস্টলমেন্ট। যদি নীতীশ কুমার বা NDA-এর জন্য ভোট দেন, তাহলে বাদবাকি টাকা মিলবে। আমার মনে হয় বিহার ছাড়া ভারতের কোনও সরকার এই ভাবে টাকা ৫০,০০০ মহিলাদের হাতে এভাবে টাকা দিয়েছে।'