প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে পদদলিত হওয়ার ঘটনায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ঘটনার জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ। তদন্তের অঙ্গ হিসেবে দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে সক্রিয় থাকা মোবাইল নম্বরগুলোর ডেটা স্ক্যান করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ১৬ হাজারের বেশি মোবাইল নম্বরের তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে অনেক মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। মহাকুম্ভ মেলা এলাকার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সিসিটিভি দেখেও সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা হচ্ছে। এদিকে বসন্ত পঞ্চমীর স্নানকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে প্রয়াগরাজ। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা রাতভর ডিউটি করছেন মেলা প্রাঙ্গনে। বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষ্যে মহাকুম্ভে তৃতীয় অমৃতস্নান শুরু হবে সোমবার ভোর ৫টা থেকে।
প্রসঙ্গত, মৌনী অমাবস্যার সময় ২৯ এবং ৩০ জানুয়ারি মধ্যবর্তী রাতে প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে রাত ২টো নাগাদ পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা পরে মহাকুম্ভ প্রশাসন ৩০ জন ভক্তের মৃত্যু এবং ৬০ জনের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এরপরই কুম্ভের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। প্রধান স্নান উৎসবের একদিন আগে এবং একদিন পরে যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সমস্ত ভিআইপি পাস বাতিল করা হয়েছে। এর আগে, বৈধ পাস সহ যানবাহনগুলিকে মহাকুম্ভ মেলা এলাকায় স্থাপিত বিভিন্ন ক্যাম্পে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ভিআইপিদের সাধুদের আখড়া এবং তাঁবুতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন তা বাতিল করা হয়েছে সম্পূর্ণভাবে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে অমৃত স্নানের আগে প্রয়াগরাজ শহরে বাইরে থেকে আসা যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্য জেলা থেকে আগত ভক্তদের প্রয়াগরাজের বাইরে নির্মিত পার্কিং স্ট্যান্ডে যানবাহন রাখতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে ভক্তরা শাটল বাসে ও পায়ে হেঁটে নিকটবর্তী ঘাটে পৌঁছাতে পারবেন। ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।