বিহারের মুজাফফরপুর জেলায় ভূত তাড়ানোর নামে এক গর্ভবতী তরুণীকে গণধর্ষণ করল ওঝা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ২৫ বছর বয়সী চার মাসের গর্ভবতী এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ওঝার এর বিরুদ্ধে। ভূত তাড়ানোর নামে সে ওই অপকর্ম ঘটায়।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার শরীর খারাপ হওয়ায় তাঁর শ্বশুর তাঁকে সিওয়াইপট্টি থানা এলাকার মাধেরা গ্রামে এক ওঝার কাছে নিয়ে যান। ওঝা জানান, মহিলার ওপর আত্মার প্রভাব পড়েছে। সেখানে শ্বশুরকে বাইরে বসিয়ে রেখে, ওই ওঝা মহিলাকে ঝাড়ফুঁক করতে ঘরের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয়বারও একই কাণ্ড ঘটে। তৃতীয়বার মহিলা যখন সেখানে যান, তখন ওই ওঝা তার দুই সঙ্গীকে ডেকে এনে মহিলাকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। লোকলজ্জার ভয়ে প্রাথমিকভাবে চুপ থাকলেও, ক্রমাগত নির্যাতনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই গর্ভবতী। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বর্তমানে তিনি SKMCH হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওপি ইনচার্জ সারওয়ারী খাতুন জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এবং সিওয়াইপট্টি থানায় মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, ভূত তাড়ানোর নামে এই ধরনের অপরাধ কীভাবে দিনের পর দিন ঘটছে। এই ধরনের কুসংস্কার-নির্ভর ধর্ষণের ঘটনা নতুন নয়। কয়েক সপ্তাহ আগেই উত্তরপ্রদেশের বাগপত থেকে এসেছে একই ধরনের অভিযোগ, যেখানে এক মৌলবি এবং তার সহযোগীরা এক মহিলাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে। সেই ঘটনাতে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।