জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধের বৈধ পক্ষ নয় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একথা বলেছেন পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) রাজনৈতিক কর্মী অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা। তিনি বলেন যে পিওকে-তে মানুষের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের লোকেদের মতো তাদেরও সমস্ত সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কয়েকজন ব্রিটিশ এমপি সহ অন্যান্য বক্তারা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের লড়াই এবং ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে জম্মু ও কাশ্মীরের অগ্রগতি সম্পর্কে কথা বলেছেন।
১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর ভারতে যোগ দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর। সেই দিনের স্মরণে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জম্মু ও কাশ্মীর দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজা ও অন্য ব্যক্তিরা। পিওকে-র ন্যাশনাল ইকুয়ালিটি পার্টির সাজ্জাদ রাজা বলেন, 'আমি সাংসদ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছি যে পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের বিরোধের বৈধ পক্ষ নয়। এই বিরোধের জন্য কেবল দুটি পক্ষ রয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ এবং ভারত। আমি সাংসদদের বলেছি যে আমরা, পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সরকারের ভুলের কারণে এখনও ভুগছি এবং কোনও অধিকার ছাড়াই বাঁচতে বাধ্য হচ্ছি।' এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে সাজ্জাদ রাজাকে বলতে শোনা যায়, 'ভারত সরকার পাকিস্তানকে এই বৈধতা দিয়েছে। আমি যদি আমার হাতে বন্দুক নিয়ে এই কক্ষে প্রবেশ করি এবং জায়গা দখল করি, আপনারা কি আমাকে একটি বৈধ দল হিসাবে বিবেচনা করবেন, যখন এটি বিবেচনা করা হচ্ছে যে আমাকে এই সংসদ কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া উচিত?'
রাজা আরও বলেন, 'এখনও খুব বেশি দেরি হয়নি এবং পাকিস্তানকে আমাদের সমস্ত মৌলিক মানবাধিকার দিতে বাধ্য করতে হবে। আমাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা উচিত নয়, আমাদেরও মানুষ। মূল ভূখণ্ড জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের লোকেরা যেমন জীবন উপভোগ করছে, তেমনি আমাদেরও শান্তিপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার এবং আধুনিক দিনের সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করার সমস্ত অধিকার আছে।'
বিভাজনের সময় হিন্দু ও শিখদের উপর নৃশংসতার কথাও তুলে ধরেছেন রাজা। তিনি যুক্তি দেন যে পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে একটি পক্ষ ছিল না। কারণ তারা আগ্রাসী ছিল, ১৯৪৭ সালে পিওকে আক্রমণ করেছিল এবং জোরপূর্বক দখল করেছিল।'
অনুষ্ঠানটি ব্রিটেনে অবস্থিত জম্মু ও কাশ্মীর প্রবাসীদের দ্বারা আয়োজিত হয়েছিল এবং ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যান হোস্ট করেছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে যোগদানকারী অন্যান্য সংসদ সদস্যরা ছিলেন জোনাথন লর্ড, থেরেসা ভিলিয়ার্স এবং চিপিং বার্নেট। বিশেষ অতিথি ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন রাজপরিবারের সদস্য অজাতশত্রু সিং এবং রিতু সিং।