Dog Lives Matter protest: 'কয়েকজন মানুষের অপরাধে সবাইকে জেলে ভরবেন?' পথকুকুর নির্দেশিকায় ক্ষোভ পশুপ্রেমীদের

সুপ্রিম কোর্টের পথকুকুর ধরার নির্দেশে বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রাণীপ্রেমীরা। রবিবার চেন্নাইয়ের এগমোর ক্যানাল রোডে প্রায় ৫০০ বিক্ষোভকারী জড়ো হন। সঙ্গে বহু পথকুকুরও নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। প্রতিবাদীদের হাতে প্ল্যাকার্ড।

Advertisement
'কয়েকজন মানুষের অপরাধে সবাইকে জেলে ভরবেন?' পথকুকুর নির্দেশিকায় ক্ষোভ পশুপ্রেমীদেরসুপ্রিম কোর্টের পথকুকুর ধরার নির্দেশে বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রাণীপ্রেমীরা।
হাইলাইটস
  • সুপ্রিম কোর্টের পথকুকুর ধরার নির্দেশে বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রাণীপ্রেমীরা।
  • রবিবার চেন্নাইয়ের এগমোর ক্যানাল রোডে প্রায় ৫০০ বিক্ষোভকারী জড়ো হন।
  • প্রাণী অধিকার কর্মী সাই ভিগনেশ জানালেন, 'আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশের প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ।'

সুপ্রিম কোর্টের পথকুকুর ধরার নির্দেশে বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রাণীপ্রেমীরা। রবিবার চেন্নাইয়ের এগমোর ক্যানাল রোডে প্রায় ৫০০ বিক্ষোভকারী জড়ো হন। সঙ্গে বহু পথকুকুরও নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। প্রতিবাদীদের হাতে প্ল্যাকার্ড। লেখা, ‘Speak for the voiceless’, ‘End the injustice against Delhi street dogs’। 'Dog Lives Matter', স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। প্রাণী অধিকার কর্মী সাই ভিগনেশ জানালেন, 'আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশের প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির লক্ষ লক্ষ পথকুকুরকে ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর কথা বলেছে।' ভিগনেশের দাবি, এই নির্দেশ সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ও অনৈতিক। শুধু তাই নয়, দেশের অন্যান্য শহরেও এই একই নিয়ম লাগু করার চেষ্টা চলছে।

বৈজ্ঞানিক সমাধানও আছে, দাবি আন্দোলনকারীদের
ভিগনেশ বলেন, ২০২৩ সালের Animal Birth Control Rules (ABC) লাগু করলেই এই পথকুকুর সমস্যার বৈজ্ঞানিক সমাধান মিলবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং World Organisation for Animal Health এর সুপারিশ অনুযায়ী এই নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বীজকরণের সার্জারি এবং টিকাকরণই একমাত্র সমাধান। গোয়া ও জয়পুরের মতো শহর এই নিয়ম মেনে চলেছিল। আর তারফলেই সেখানে এখন জলাতঙ্কের সমস্যা নেই।
picture
‘মানুষকে বাঁচিয়েছে পথকুকুর’, উদাহরণ ভিগনেশের
আদালত প্রশ্ন তুলেছিল, কুকুরে কাউকে কামড়ালে বা কুকুরের কামড়ে কারও মৃত্যু হলে তাঁদের হয়ে কে কথা বলবে? উত্তরে ভিগনেশ বলেন, 'এক, দু'টি ঘটনা হয় তো সত্য়িই হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে পথকুকুরও অনেকসময় মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্রের ভাসাইয়ে এক মহিলা ধর্ষণকারীদের কবলে পড়েছিলেন। সেই সময় একটি পথকুকুর তাঁকে রক্ষা করে। তেড়ে গিয়ে দুষ্কৃতীদের তাড়িয়ে দেয়। তার আগে ২০২৩ সালেও ভোপালে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ার পর একটি শিশু ধ্বংসস্তূপে আটকে গিয়েছিল। তাকেও খুঁজে বের করেছিল একটি স্থানীয় পথকুকুর। এ রকম অসংখ্য উদাহরণ আছে।' 
তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'যদি কিছু মানুষ অপরাধ করে, তাহলে কি আমরা সবাইকেই খাঁচায় পুরে দেব? একই যুক্তি কুকুরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমাদের সংবিধানের ৫১এ (জি) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সমস্ত জীবের প্রতি করুণা দেখাতে হবে।'

Advertisement

আশ্রয়কেন্দ্র মানেই মৃত্যুকূপ!
ভিগনেশ আরও বলেন, সরকার এত বিপুল সংখ্যায় কুকুর ধরতে পারবে না। অনেক কুকুরের নির্মমভাবে মৃত্যু হবে। ভারতে অন্তত ৬ কোটির বেশি কুকুর আছে। এত বিপুল সংখ্যক প্রাণীকে আশ্রয় দেওয়ার মতো অর্থ বা পরিকাঠামো সরকারের নেই। উপরন্তু, কুকুর দলবদ্ধ ও এলাকাভিত্তিক প্রাণী। অচেনা কুকুরকে এক জায়গায় রাখলে তারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে মরবে।
রোগ ও অনাহারের আশঙ্কা
ভিগনেশ সতর্ক করে বলেন, একসঙ্গে এত কুকুরকে খাঁচায় পুরে রাখলে রোগ ছড়াবে। অনাহারে মৃত্যু শুরু হবে। তাই পথকুকুর সমস্যার একমাত্র মানবিক সমাধান হলো নির্বীজকরণ ও টিকাকরণ। 

POST A COMMENT
Advertisement