Pune: গলায় ছুরি ধরে মামা-ভাগ্নিকে যৌনতায় বাধ্য করল, তারপর VIDEO করে চলল গণধর্ষণ

মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক চাঞ্চল্যকর ও নারকীয় অপরাধের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দুই দুষ্কৃতী ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে তাঁর মামার সামনে ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখায়, তাঁকে জোর করে ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য করে এবং সেই ঘটনার ভিডিও করে। এরপর পালাক্রমে তাঁকে ধর্ষণ করে এবং লুটপাট চালিয়ে পালিয়ে যায়।

Advertisement
গলায় ছুরি ধরে মামা-ভাগ্নিকে যৌনতায় বাধ্য করল, তারপর VIDEO করে চলল গণধর্ষণ
হাইলাইটস
  • মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক চাঞ্চল্যকর ও নারকীয় অপরাধের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
  • দুই দুষ্কৃতী ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে তাঁর মামার সামনে ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখায়, তাঁকে জোর করে ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য করে এবং সেই ঘটনার ভিডিও করে।

মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক চাঞ্চল্যকর ও নারকীয় অপরাধের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দুই দুষ্কৃতী ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে তাঁর মামার সামনে ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখায়, তাঁকে জোর করে ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য করে এবং সেই ঘটনার ভিডিও করে। এরপর পালাক্রমে তাঁকে ধর্ষণ করে এবং লুটপাট চালিয়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনার বিবরণ
শনিবার (২ মার্চ) গভীর রাতে পুনের রঞ্জনগাঁও এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা তাঁর মামার সঙ্গে বাড়ির কাছে একটি নির্জন জায়গায় বসে ছিলেন। ঠিক তখনই দুই অপরাধী মোটরসাইকেলে এসে তাঁদের ভয় দেখাতে শুরু করে।

রঞ্জনগাঁও থানার সিনিয়র পুলিশ অফিসার মহাদেব ওয়াঘমোডে জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা ছুরি দেখিয়ে প্রথমে ওই তরুণী ও তাঁর মামাকে একে অপরের সঙ্গে জোরপূর্বক ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য করে। সেই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। এরপর পালাক্রমে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর কাছ থেকে সোনার নাকছাবি ও সোনার দুল ছিনিয়ে নেয় এবং দ্রুত পালিয়ে যায়। তদন্তে উঠে এসেছে অভিযুক্তদের নাম, অমল নারায়ণ পোটে (২৫) ও কিশোর রামভাউ কালে (২৯)। পুনে পুলিশ দ্রুত অভিযানে নামে এবং দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে লুট করা সোনার অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আইনি পদক্ষেপ ও তদন্ত
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ছিনতাই, ভয় দেখানো এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, অভিযুক্তদের ৭ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখা হবে।

সমাজে প্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা ইস্যু
এই নারকীয় ঘটনায় পুনে তথা গোটা মহারাষ্ট্রে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নারী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। মানবাধিকার কর্মী ও সাধারণ নাগরিকরা অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল সংলগ্ন এলাকায় রাতের টহলদারি আরও জোরদার করা হবে এবং নির্জন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে। তবে এই ঘটনার ভয়াবহতা সমাজের কাছে এক বড় সতর্কবার্তা বহন করছে।

Advertisement


 

TAGS:
POST A COMMENT
Advertisement