এবার জেলেই তৈরি হচ্ছে মিলন কক্ষ। বংশ বিস্তারের জন্য যেখানে মিলনে লিপ্ত হতে পারবেন কয়েদিরা। দেখে অবাক লাগলেও, বাস্তবে ঘটতে চলেছে এমনটাই। বিশেষ এই ঘরের ব্যবস্থা করতে চলেছে পঞ্জাব সরকার। মোট ১৫ দিনের জন্য মিলবে এই সুযোগ। এটিকে ওই বন্দির প্যারোলে মুক্তি বলে গণ্য করা হবে।
বিষয়টা একটু বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কোনও একজন যদি জেলবন্দি থাকেন, তাহলেও তাঁকে বংশরক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। এই মর্মে একাধিক মামলায় সায় দিয়েছে দেশের বিভিন্ন আদালতও। সেক্ষেত্রে এবার এক বন্দির আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন এই মিলন কক্ষ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্জাব সরকার। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে একথা পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টকে জানানোও হয়েছে।
তবে শুধুমাত্র বংশ রক্ষার আবেদনই এক্ষেত্রে মান্যতা পাবে। আদালত আর্জি মঞ্জুর করলে মিলনের ব্যবস্থা জেল কর্তৃপক্ষ করবে। পঞ্জাব সরকারের কারা দফতর সূত্রে খবর, এই বিষয়ে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে প্রথম আবেদন জমা পড়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে। গুরুগ্রামের এক মহিলা বংশরক্ষার আর্জি নিয়ে জেলবন্দি স্বামীর সঙ্গে শারীরিক মিলনের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানান। খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে বন্দি ওই মহিলার স্বামী। প্রায় একই ধরনের আবেদন জেলবন্দি অপর এক কয়েদিরও। গত মাসে রাজস্থানেও এই ধরনের একটি আর্জি জমা পড়ে।
এদিকে এরই মাঝে এই ধরনের পিটিশনের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে একটি জেল সংস্কার কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেয় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। তারপরেই উদ্যোগ নেয় পঞ্জাব সরকার। সেই উদ্যোগেরই ফলস্বরূপ এবার কয়েদিদেরও বংশরক্ষার সুযোগ করে দিতে জেলেই মিলন কক্ষ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আরও পড়ুন - মাত্র ৫ দিনের অপেক্ষা, শুক্রের তুলায় প্রবেশে ৩ রাশির ভাগ্যোদয়ের সম্ভাবনা