রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজে পুতিনরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দু'দিনের ভারত সফরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছন। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। দীর্ঘ চার বছর পর ভারত সফরে এলেন পুতিন। আজ, ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার পুতিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য সহ একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে আজ।বৃহস্পতিবার কালো স্যুট-বুটে পুতিন দিল্লির মাটিতে পা রাখেন। বিমান থেকে নামার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে স্বাগত জানান। সমস্ত প্রোটোকল ভেঙে তিনি তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে পৌঁছন।
পুতিনের দুই দিনের ভারত সফর শেষ। রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের পর পালাম বিমানবন্দরে যান। মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেন। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একাধিক উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে রয়েছে অহমিয়া কালো চা, একটি রুপোর চা সেট, রুোর ঘোড়া, পাথরের দাবার সেট, কাশ্মীরি জাফরান এবং রাশিয়ান ভাষায় গীতা।




রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্মানে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজ। সন্ধেয় পুতিন এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিদল হাজির হন রাষ্ট্রপতি ভবনে। রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবং ভিভিআইপিরা।
রাষ্ট্রপতি ভবনে ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মানে নৈশভোজ। সন্ধেয় পৌঁছলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিনের সঙ্গে করমর্দন করে স্বাগত জানালেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
#WATCH | Delhi: President Droupadi Murmu receives Russian President Vladimir Putin as he arrives at Rashtrapati Bhavan to attend the banquet hosted in his honour
— ANI (@ANI) December 5, 2025
(Source: Kremlin) pic.twitter.com/tIvafaMzrf
আইটিসি মৌর্য হোটেল থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মানে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। নৈশভোজে পৌঁছে গিয়েছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল। পুতিনের শীঘ্রই যোগ দেওয়ার কথা। নৈশভোজে ভারতীয় এবং রাশিয়ান খাবার পরিবেশন করা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে।
ভারত মণ্ডপমে বিজনেস ফোরামে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন,'আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে স্বাধীন ও সার্বভৌম নীতি অনুসরণ করছে ভারত। আজ ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূরদর্শী আর্থিক নীতি এবং 'মেক ইন ইন্ডিয়া'-এর মতো যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ। ভারত প্রযুক্তিগতভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে। ভারতের আইটি এবং ওষুধ বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে। রাশিয়া এবং ভারত কয়েক দশক ধরে নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য অংশীদার। আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে, এটি রেকর্ড ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য গত বছর রাশিয়া-ভারত বাণিজ্য ৬৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণের অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়া এবং ভারত উভয়েরই বিশাল উপভোক্তা বাজার রয়েছে। আমি আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী মোদীজির নেতৃত্বে ভারত সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সার্বভৌম নীতি অনুসরণ করছে। চমৎকার ফল করছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও'।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন,'ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের সবচেয়ে বড় শক্তি হল আমাদের যৌথ চেষ্টাকে দিশা এবং গতি দেওয়া। এটা আমাদের নতুন স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষার দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। গত বছর পুতিন এবং আমি ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম। কিন্তু গতকাল পুতিনের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় বুঝতে পেরেছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই সেই লক্ষ্য অর্জনের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের শক্তি, উদ্ভাবন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা দুই দেশের ভবিষ্যৎকে রূপ দিচ্ছে। গত ১১ বছরে ভারত যে বদলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তা অভূতপূর্ব। সংস্কার, কর্মক্ষমতা এবং পরিবর্তনের নীতি অনুসরণ করে, ভারত দ্রুত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার দিকে এগোচ্ছে। আমরা ক্লান্ত নই। থামিনি। আমাদের সংকল্প আগের চেয়েও দৃঢ়। আমরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। আমাদের লক্ষ্যের দিকে খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসা করার সরল নীতি আনা হয়েছে। সেজন্য জিএসটি সংস্কার করেছি। দুই দেশের মধ্যে পর্যটন বৃদ্ধি পাবে। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে'।
বিজনেস ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমরা বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির পথ খুলে দিয়েছি। নতুন সুযোগের সূচনা হবে। আমরা অসামরিক পারমাণবিক খাতেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছি। এটি কেবল প্রশাসনিক সংস্কার নয়, বরং মানসিকতার সংস্কার। এর পিছনে রয়েছে একটাই সংকল্প: বিকশিত ভারত।"
সূত্রের খবর, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ডিনারে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। তবে নিমন্ত্রিত হয়েছেন শশী থারুর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বন্ধু বলে সম্বোধন করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর জন্য যেভাবে ডিনারের আয়োজন করা হয়েছিল, তার জন্যও ব্যক্তিগত ভাবে ধন্যবাদ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'শীঘ্রই রুশ নাগরিকদের জন্য ৩০ দিনের ই-টুরিস্ট ভিসা এবং ৩০ দিনের গ্রুপ টুরিস্ট ভিসা চালু করব।'
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করবেন। ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে হওয়া একধিক চুক্তিগুলির বিষয়ে সকলকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অস্থায়ী শ্রমিকদের গতিবিধি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই সমঝোতা দুই দেশের নিজস্ব সংযোগকে আরও মজবুত করার ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত দুই দেশ অর্থনৈতিক সমঝোতা চুক্তি বজায় রাখবে।
হায়দরাবাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষার বিষয়ে রাশিয়া-ভারতের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হল।
ভারত-রুশ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার সময় মোদী বলেন, 'প্রথমবার ভারত আসার পর ২৫ বছর হয়ে গিয়েছে। ওই প্রথম সফরেই দুই দেশের রাজনৈতিক সমঝোতা তৈরি হয়েছিল। আমার জন্য এটাও ভাল খবর যে আপনার সঙ্গে আমার সম্পর্কেরও ২৫ বছর হয়ে গেল।...'
ইউক্রেন শান্তি উদ্যোগের প্রতি ভারতের পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, "আমাদের সম্পর্কের নজির ইতিহাসেও রয়েছে।"
হায়দরাবাদ হাউসে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকের শুরুতেই মোদী বলেন, আশা করি রাশিয়া ও ইউক্রেন শীঘ্রই শান্তির পথ খুঁজে পাবে। এরপরই ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দিলেন পুতিনও।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত নিরপেক্ষ নয় তবে শান্তির পক্ষে। এমনটাই পুতিনকে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হায়দারবাদ হাউসে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনা।
হায়দরাবাদ হাউসে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকের শুরুতেই মোদী বলেন, আশা করি রাশিয়া ও ইউক্রেন শীঘ্রই শান্তির পথ খুঁজে পাবে, পুতিনকে জানালেন পিএম মোদী।