কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের VIDEO-তে কপিরাইট আর নয়? AAP সাংসদের প্রস্তাব

APP নেতা রাঘব চাড্ডা ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের স্বার্থরক্ষায় বৃহস্পতিবার সংসদে সরব হলেন। তিনি বলেন, ডিজিয়াল কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের জীবিকা আইন ঠিক করে দিতে পারে, কিন্তু কোনও 'স্বেচ্ছাচারী' অ্যালগরিদম নয়।

Advertisement
কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের VIDEO-তে কপিরাইট আর নয়? AAP সাংসদের প্রস্তাবকন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের জন্য প্রস্তাব AAP নেতার
হাইলাইটস
  • সংসদে উঠে এল কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের নিয়ে আলোচনা।
  • লক্ষ লক্ষ ভারতীয় বর্তমানে ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটার হয়ে উঠেছেন।
  • কপিরাইট অ্যাক্ট ১৯৫৭-তে সংশোধনী আনার দাবি করেছেন রাঘব।

এবার সংসদে উঠে এল কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের নিয়ে আলোচনা। APP নেতা রাঘব চাড্ডা ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের স্বার্থরক্ষায় বৃহস্পতিবার সংসদে সরব হলেন। তিনি বলেন, ডিজিয়াল কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের জীবিকা আইন ঠিক করে দিতে পারে, কিন্তু কোনও 'স্বেচ্ছাচারী' অ্যালগরিদম নয়।

এদিন সংসদে জিরো আওয়ারে ভাষণ দিতে গিয়ে পাঞ্জাবের সাংসদ বলেন, "লক্ষ লক্ষ ভারতীয় বর্তমানে ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটার হয়ে উঠেছেন। কেউ শিক্ষকতা, কেউ সিনেমার রিভিউদাতা, আবার কেউ ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করছেন। এখন ইনস্টাগ্রাম পেজ হোক আর ইউটিউব চ্যানেল বলুন কোনওটাই তাঁদের কাছে শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং এটি তাঁদের জীবিকা-সম্পত্তি হয়ে উঠেছে। এগুলো তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের ফল।"

এরপরেই কপিরাইট অ্যাক্ট ১৯৫৭-তে সংশোধনী আনার দাবি করেছেন রাঘব। কপিরাইট স্ট্রাইকের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি জানান, কোনও কন্টেন্ট ক্রিয়েটার যখন তাঁদের কন্টেন্টে মাত্র ২-৩ সেকেন্ডের জন্যও কপিরাইটযুক্ত কোনও কন্টেন্ট ব্যবহার করেন, তখন তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। 

উদাহরণ হিসেবে আপ নেতা বলেন, "ধরুন কোনও ভিডিও'র মধ্যে খুব সামান্য সময়ের জন্যও যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনও গান বা কিছু চালানো হয়, তখন দেখা যায় পুরো ভিডিওটিতে কপিরাইট চলে এল। এমনটা হওয়া উচিত নয়। এরফলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটাররা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন। কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের জীবিকা আইন ঠিক করে দিতে পারে, কিন্তু কোনও 'স্বেচ্ছাচারী' অ্যালগরিদম নয়।"

তবে রাঘব চাড্ডা স্পষ্ট করে জানান, তিনি কপি রাইটের বিরোধী নন। কিন্তু সঠিক ব্যবহারকে কখনই পাইরেসির সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয় বলে সংসদে জানান তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, সৃজনশীলতা কখনও হুমকির মুখে টিকে থাকতে পারে না।

এরপরই বাস্তব সমস্যার কথা টেনে চাড্ডা বলেন, "ভারতের কপিরাইট অ্যাক্ট লাগু করা হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। তখন কোনও ইন্টারনেট, কম্পিউটার বা ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের ইউটিউব বা ইনস্টাগ্রাম ছিল না। তাই এই আইনে ডিজিটাল ক্রিয়েটরদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংজ্ঞারই অভাব রয়েছে। এই আইন 'ফেয়ার ডিলিং' এর কথা বলে ঠিকই, কিন্তু তা শুধুমাত্র বই, ম্যাগাজিন ও জার্নালের জন্যই।"

Advertisement

এ বিষয়ে সংসদে নিজের তিনটি দাবি রাখেন পাঞ্জাব সাংসদ-

প্রথমটি, তিনি বলেন, কপিরাইট অ্যাক্ট ১৯৫৭-কে সংশোধন করতে হবে। সেখানে ডিজিটাল ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবহারের উল্লেখ থাকা দরকার। কোনও কপিরাইট কন্টেন্ট বাণিজ্যিক স্বার্থ বা এডুকেশনাল ক্ষেত্রে, অবাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের প্রয়োগ কী হবে, তার উল্লেখ থাকা দরকার।

দ্বিতীয়ত, কপিরাইটের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হিসেব চালু করার দাবি জানান সাংসদ। তিনি জানান, কোনও ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে কয়েক সেকেন্ডের জন্য কোনও গান চালালে, এরফলে ওই কন্টেন্ট ক্রিয়েটারের পুরো ভিডিওটাই 'টেকডাউন' করা হবে, এটা হতে পারে না।

তৃতীয়ত, কোনও কন্টেন্ট 'টেকডাউন' করার আগে তার যথাযোগ্য যাচাই হওয়া প্রয়োজন।

POST A COMMENT
Advertisement