ভোর ৪টেয় উঠে ভোট ডিলিট করে আবার শুয়ে পড়। 'ভোট চুরি'র অভিযোগ তুলে এমনই ব্যাখ্যা দিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর গুরুতর দাবি, সেই ভোরগুলিতে নির্বাচন কমিশন সজাগ থাকে। চোরকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়ে তটস্থ থাকে। বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক সম্মেলনের একটি সেগমেন্ট আজ অর্থাত্ শুক্রবার ফের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন রাহুল। যার নির্যাস, বিহার ভোটের মুখে ভোট চুরির অভিযোগেই বিজেপি-কে বিদ্ধ করতে মরিয়া রাহুল।
ভোর ৪টেয় ভোটার ডিলিট
এক্স হ্যান্ডেলে রাহুলের পোস্ট করা ভিডিওতে বলছেন, 'ভোররাতে ঠিক ৪টেয় উঠে গেল, মাত্র ৩৬ সেকেন্ডে দুজন ভোটারকে মুছে দিল, তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ল। এইভাবেই হল ভোট চুরির কারবার! গণতন্ত্রের রক্ষক যারা, তারা জেগে থেকেও চুরি দেখল, আর চোরদের পাহারা দিল।' কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের দেদার ভোট চুরি করা হয়েছে বলে বড় অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। তাঁর দাবি, একটি সেন্ট্রালাইজড সফ্টওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়। যদিও রাহুলের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
सुबह 4 बजे उठो,
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) September 19, 2025
36 सेकंड में 2 वोटर मिटाओ,
फिर सो जाओ - ऐसे भी हुई वोट चोरी!
चुनाव का चौकीदार जागता रहा, चोरी देखता रहा, चोरों को बचाता रहा।#VoteChoriFactory pic.twitter.com/pLSKAXH1Eu
৩৬ সেকেন্ডে দুটি আবেদন
রাহুলের অভিযোগ, কর্নাটকে ৬ হাজার ভোটারকে ডিলিট করা হয়েছিল আলান্দ কেন্দ্রে ২০২৩ সালে। এই অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তিনি তিনটি কেস স্টাডি তুলে ধরেন। তাতে দেখানো হয়, নাগরাজ নামে এক ব্যক্তি মাত্র ৩৬ সেকেন্ডের মধ্যে দু’টি আলাদা আবেদন জমা দিয়েছিলেন ভোটারের নাম মুছে দেওয়ার জন্য। রাহুলের কথায়, 'মাত্র ৩৬ সেকেন্ডে দু’টি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। আপনারাই একবার ফর্মগুলি ভরে দেখুন, কতক্ষণ লাগে। হাতে করে এটা করা একেবারেই অসম্ভব।' তাঁর দাবি, পুরো ব্যাপারটাই অটোমেশনের মাধ্যমে করা হয়েছে।
কংগ্রেসের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, কোন সময়ে ফর্মগুলি জমা দেওয়া হয়েছে, সেটাই সন্দেহজনক। রাহুলের মন্তব্য, 'দেখুন তো, কোন সময়ে এই ভদ্রলোক ফর্ম ভরেছেন। ভোর ৪টা ৭ মিনিটে হঠাৎ উঠে দু’টি ফর্ম জমা দিয়েছেন, এর মধ্যেই রহস্য রয়েছে।' এছাড়া কংগ্রেস ভোটার জালিয়াতির অভিযোগ তুলে একটি স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানেরও সূচনা করেছে। শুক্রবার দলটি একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই উদ্যোগকে সমর্থন করছেন।
যদিও কমিশনের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ অনলাইনে ভোটার তালিকা থেকে নাম মুছতে পারে না। কোনও নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবশ্যই শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়।