এদিন ভোটার অধিকার যাত্রার সূচনায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লালু প্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদব।রবিবার বিহারের সাসারাম থেকে ১,৩০০ কিমি দীর্ঘ ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে বিরোধী জোট INDIA bloc এর প্রচার করতেই এই উদ্যোগ। এই অধিকার যাত্রার মাধ্যমে তিনি তাঁর 'ভোট চুরি'র অভিযোগ দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে চাইছেন। এদিন ভোটার অধিকার যাত্রার সূচনায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লালু প্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদব। এদিন যাত্রা শুরুর আগের জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেন, 'এই যাত্রা সংবিধান রক্ষার লড়াই।' তাঁর দাবি, বিহারে ভোটার তালিকার SIR করার মাধ্যমে নাগরিকদের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে। আবার নতুন নাম জুড়ে দিয়ে ভোট 'চুরি'র চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ রাহুলের। তাঁর অভিযোগ, 'দেশজুড়ে বিধানসভা ও লোকসভা ভোট চুরি হচ্ছে। বিহারে ভোটার তালিকা থেকে নাম মুছে ও নতুন ভোটার যোগ করে ভোট চুরির চেষ্টা চলছে।'
তিনি বলেন, 'আমাকে নির্বাচন কমিশন হলফনামা জমা দিতে বলেছে। অথচ বিজেপি নেতারা এমনটা করলেও তাঁদের কোনও বিষয়েই জবাবদিহি করতে বলা হয়নি।'
ভোট চুরি আটকানোর ডাক
লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, 'আমরা ভোট চুরি আটকাব। গরিব মানুষের হাতে একমাত্র শক্তি তাদের ভোট। আমরা তা কেড়ে নিতে দেব না।'
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'মহারাষ্ট্রে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে INDIA bloc এগিয়ে ছিল। কিন্তু মাত্র চার মাসের মধ্যেই সেখানে এক কোটি নতুন ভোটার যোগ হয়। তারপর বিজেপি জোট সব আসন জিতে নেয়। যেখানেই নতুন ভোটার বেড়েছে, সেখানেই বিজেপি জিতেছে।'
বিরোধীদের বিক্ষোভ
ভোটার তালিকার সংশোধন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বিহারে টানা আন্দোলন করছেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা মাত্র।
তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি, ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিতভাবে SIR হয়নি। ফলে অযোগ্য অনেকেই ভোটার কার্ড পেয়েছেন। আবার অনেকের একাধিক আসনে ভোটার কার্ড রয়েছে। এই সমস্যাগুলি দূর করতেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাহুল গান্ধী এই ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’য় ২০টিরও বেশি জেলায় ঘুরবেন। ঔরঙ্গাবাদ, গয়া, নবাদা, নালন্দা, শেখপুরা, লখিসরাই, মুঙ্গের, ভাগলপুর, কাটিহার, পূর্ণিয়া, আরারিয়া, সুপৌল, মধুবনী, দরভাঙ্গা, সীতামারহি, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, ছপরা ও আরা হয়ে পাটনা পৌঁছবেন।
১ সেপ্টেম্বর পাটনায় সমাবেশ। কংগ্রেস জানিয়েছে, কিছুটা পায়ে হেঁটে এবং কিছুটা গাড়িতে করে এই যাত্রা করবেন রাহুল। অনেকটা ২০২৪ সালের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র মতোই।