scorecardresearch
 

Rahul Gandhi Bharat Jodo Yatra: 'হ্যান্ড গ্রেনেড নয়, কাশ্মীরিরা ভালোবাসা দিয়েছেন',তুষারপাতের মাঝে শ্রীনগরে রাহুল

শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর বরফপাতের মাঝে রাহুল গান্ধী মনে করালেন, তাঁর পূর্বপুরুষরাও কাশ্মীরি ছিলেন। কাশ্মীর থেকে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে। পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে কাশ্মীরিয়াত পেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে সাড়া পেয়েছেন তাতে তিনি আপ্লুত বলে জানিয়েছেন রাহুল।

Advertisement
শ্রীনগরে রাহুল গান্ধী। শ্রীনগরে রাহুল গান্ধী।
হাইলাইটস
  • শ্রীনগরে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি।
  • সহিষ্ণুতার বার্তা রাহুল গান্ধীর।

তুষারপাত হয়েই চলেছে। তার মাঝেই ভাষণ দিয়ে চলেছেন রাহুল গান্ধী। সোমবার শ্রীনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হল 'ভারত জোড়ো যাত্রা'।  ১৩৫ দিনের এই কর্মসূচির শেষ দিনে এসে সবাইকে আপন করে নেওয়ার বার্তা দিলেন সনিয়া-তনয়। যা শুরু হয়েছিল কন্যাকুমারী থেকে। শেষ দিনে বিরোধী দলগুলিকেও শামিল হতে দেখা গেল। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুখ আবদুল্লা ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির মেহবুবা মুফতি এসেছিলেন। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।      

শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর বরফপাতের মাঝে রাহুল গান্ধী মনে করালেন, তাঁর পূর্বপুরুষরাও কাশ্মীরি ছিলেন। কাশ্মীর থেকে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে। পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে কাশ্মীরিয়াত পেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে সাড়া পেয়েছেন তাতে তিনি আপ্লুত বলে জানিয়েছেন রাহুল। তিনি বলেন,'আমি গান্ধীজির কাছ থেকে শিখেছি কীভাবে ভয়ডরহীন বাঁচতে হয়। চারদিন হেঁটেছি এখানে। আমি শুধু ভেবেছি, আমার টি-শার্টের রং বদলে লাল করে দাও। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ আমাকে লক্ষ্য করে হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়েনি। বরং ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে। হৃদয় দিয়ে ভালবাসা দিয়েছে।'

বিজেপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়,'বিজেপির কোনও নেতা চারদিন হাঁটতে পারবেন না। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ তাঁকে হাঁটতে দেবে না এমনটা কিন্তু নয়। আসলে বিজেপি ভয় পায়।'রাহুল জানান,'বহু বছর ধরে তিনি প্রতিদিন ৮-১০ কিলোমিটার দৌড়ন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত হেঁটে যাওয়া অতটা কঠিন হবে না বলে মনে করেছিলেন তিনি। রাহুল বলেন, 'ছোটবেলায় ফুটবল খেলার সময় হাঁটুতে চোট পেয়েছিলাম। কন্যাকুমারী থেকে যাত্রা শুরুর পরহাঁটুতে ব্যথা হচ্ছিল। তবে কাশ্মীরে পৌঁছে মনে হল ব্যথার উপশম হল।' 

রাহুল গান্ধী বলেন,'প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আমার আগে মঞ্চে এসেছিল। এমন কথা বলল যে চোখে জল এসে গেল।' প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জনসভায় জানিয়েছিলেন,কাশ্মীরে পৌঁছনোর আগে রাহুল গান্ধী তাঁকে এবং সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেছিলেন। তাঁর মনে হচ্ছিল যেন বাড়িতে ফিরছেন।' রাহুল আরও বলেন,'আমি সরকারি বাড়িতে থাকতাম। নিজের বাড়ি ছিল না। আমার জন্য বাড়ি কোনও কাঠামো নয়, এটা আসলে বাঁচার উপায়। আপনারা যাকে কাশ্মীরিয়ত বলেন, আমি সেটাকে ঘর বলে মনে করি। কাশ্মীরিয়ত কী? এটা শিবের চিন্তাভাবনা। এটা শূন্যতা বলা যেতে পারে। নিজের অহংকারকে ভেঙে দেওয়ার শূন্যতা। ইসলামে যাকে ফনাহ বলা হয়। ফনাহ অর্থাৎ নিজের চিন্তাভাবনার উপরে আঘাত।'

Advertisement

বিজেপিকে নিশানা করে ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদ বলেন,'যারা হিংসায় বিশ্বাসী তারা মানুষের কষ্ট বোঝে না। আমি বুঝি। আমি এই ব্যথা অনেকবার পেয়েছি। অনুভব করেছি। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহ বুঝতে পারবেন না যে পুলওয়ামা হামলায় শহিদদের পরিবার কী অবস্থায় আছে।' নিজের ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়ার কথাও স্মরণ করেন রাহুল। তাঁর সংযোজন,'যে আদর্শ দেশকে বিভক্ত করে, তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তবে ঘৃণা নিয়ে নয় ভালোবাসা নিয়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা শুধু সেই আদর্শকে পরাজিত করব না, তাদের বুক থেকে বিদ্বেষকেও মুছে দেব।'
 

আরও পড়ুন- কবে-কাকে বিয়ে করছেন, প্রথম চাকরি কোথায়? সব জানালেন রাহুল

Advertisement