হাইড্রোজেন বোমা ফাটাবেন বলেছিলেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনেও ডাকলেন। তবে আকাশ ফাটানো বিস্ফোরণ না হলেও চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য পেশ করলেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতার দাবি, 'নির্বাচন কমিশনের অন্দর থেকেই মদত মিলছে।'
'ভোট চুরি' হয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, রীতিমতো তথ্যপ্রমাণ দিয়ে এই মর্মে সরব রাহুল গান্ধী। আর এই 'চুরি'-তে গেরুয়া শিবিরকে নির্বাচন কমিশন মদত দিয়েছে বলেও দাবি তাঁর। বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক সম্মেলনেও ফের একবার সোজাসুজি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিশানা করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ভোটার তালিকা থেকে নাম মুছে দেওয়ার খেলা হয়েছে কর্নাটকে। সরাসরি এর জন্য দায়ী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। জায়ান্ট স্ক্রিনে তথ্যপ্রমাণ সহ সেই দাবি তুলে ধরেন রাহুল।
মঞ্চে দাঁড়িয়েই কংগ্রেস সাংসদের দাবি, 'গণতন্ত্র রক্ষা করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। আমার নয়। আমি তো বিরোধী দলনেতা, সরকারের উপর চাপ দেওয়া আমার কাজ। কিন্তু আমাকে এখন গণতন্ত্র রক্ষার কাজ করতে হচ্ছে। কারণ এ দেশে গণতন্ত্র হাইজ্যাক করা হয়েছে।' তাঁর সংযোজন, 'ভোট চুরি নিয়ে আমরা তথ্যপ্রমাণ সহ সমস্ত বর্ণনা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। এবার বিচার আপনাদের। এই মর্মে খোদ নির্বাচন কমিশনের অন্দর থেকে আমরা সাহায্য পাচ্ছি। ভিতরের কর্মীরাই আমাদের ভোট চুরি ধরতে মদত দিচ্ছেন।'
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কর্নাটকের অলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রের উদাহরণ দেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক নির্দিষ্ট কিছু কেন্দ্রে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, কোথাও আবার অবৈধ ভাবে ভোটারদের নাম ঢোকানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে অন্তত ৬০১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন রাহুল। তিনি বলেন, 'অলন্দ কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্র। কেউ কেউ ৬০১৮টি ভোট মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। আমরা জানি না ২০২৩ সালের ভোটে (কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন) ঠিক কত জনের নাম বাদ গিয়েছে। কিন্তু সংখ্যাটা অবশ্যই ৬০১৮-র বেশি হবে।'