আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভারত সফরে রয়েছেন। আর তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলা সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে এ বার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিন এক্স -এ লেখেন, 'মিস্টার মোদি, আপনি যখন পাবলিক ফোরাম থেকে মহিলা সাংবাদিকদের বাদ দেওয়ার অনুমতি দেন, তখন আপনি ভারতের প্রতিটি নারীকে বলছেন যে আপনি তাদের পক্ষে দাঁড়ানোর পক্ষে খুবই দুর্বল।'
এখানেই শেষ না করে তিনি আরও লেখেন, 'আমাদের দেশে সব জায়গায় নারীদের সমান অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। এই ধরনের বৈষম্যের মুখে আপনার নীরবতা, নারীশক্তি নিয়ে আপনার স্লোগানের শূন্যতা প্রকাশ করে।'
সরকারকে এক হাত নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও
মহিলা সাংবাদিকদের প্রেস কনফারেন্সে প্রবেশ না করতে দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল দেশের রাজনীতি। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটি পোস্ট করেছেন কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা। তিনি এক্স-এ লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী @নরেন্দ্রমোদিজি, ভারত সফরে তালিবান প্রতিনিধিদের প্রেস কনফারেন্স থেকে মহিলা সাংবাদিকরা না থাকার বিষয়ে আপনার অবস্থান স্পষ্ট করুন।...' আর প্রিয়াঙ্কার সেই লেখাকে রিট্যুইট করেই মোদীর দিকে তোপ ছুড়েছেন রাহুল।
প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমও
মোদী সরকারের এহেন আচরণের জন্য হতাশ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমও। তিনি বলেন, 'আমি হতবাক যে আফগানিস্তানের আমির খান মুত্তাকির সাংবাদিক সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়া হয়েছে।...'
ভারত সরকার কী জানিয়েছে?
এই নিয়ে মুখ খুলেছে ভারত সরকারও। তারা জানিয়েছে, এই সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত সরকারে কোনও ভূমিকা ছিল না। তাই এর দায় সরকারের নয়।
তবে বিরোধীরা আবার সরকারের এই দাবিতে খুশি নয়। তাদের মতে, ভারতে কোনও প্রেস কনফারেন্স হলে দেশের সরকারকে তার দায় অবশ্যই নিতে হবে। তাই এক্ষেত্রেও মোদী সরকারের দায় রয়েছে। তারা হস্তক্ষেপ করলে মহিলারা সাংবাদিক সম্মেলনে থাকার অধিকার পেতেন। এমনটা ঘটতই না। সুতরাং এই দায় মোদী সরকারকে নিতে হবে বলে দাবি করছেন তারা। এমনকী এই নিয়ে জবাবও চেয়েছেন অনেক বিরোধী নেতানেত্রী।
আর আপাতত এই বিষয়টা নিয়ে খুব উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি। একে অপরের দিকে আঙুল উঠছে। যদিও সরকার এই দাবি মানতে নারাজ। বরং তারা এই ঘটনার থেকে দূরত্ব তৈরিতেই বেশি উদ্যোগী।