সোমবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে এবং প্রথম দিনেই প্রচুর হট্টগোল দেখা গেছে। এদিকে, লোকসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভোটার তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। অন্যান্য বিরোধী দলও তাঁকে সমর্থন করেছে। বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, সারা দেশে ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। পুরো বিরোধী দল শুধু বলছে যে ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।
কংগ্রেস ট্যুইট করেছে যে সমগ্র বিরোধী দল সংসদে ভোটার তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকার অনিয়ম নিয়ে আমাদের সাংবাদিক সম্মেলনের পর এক মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে। কিন্তু স্বচ্ছতার বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যে দাবিগুলো করেছিলাম, সেগুলো এখনও পূরণ হয়নি। প্রশ্নগুলো আজও একই রকম।
রাহুল সংসদে বলেন, এখন ভোটার তালিকায় নকল নামের নতুন প্রমাণ উঠে এসেছে, যা আরও নতুন এবং গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করছে। গণতন্ত্র এবং সংবিধানের মূল্যবোধ রক্ষার জন্য এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ভোটার তালিকার বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন যে, সমগ্র বিরোধী দল একসঙ্গে বলছে যে এটি নিয়ে এখানে আলোচনা করা উচিত। তিনি বলেন, আমরা স্বীকার করি যে ভোটার তালিকা সরকার তৈরি করে না, তবে এটি নিয়ে আলোচনা করা উচিত। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন এবং বলেছেন যে অবিচার করা হয়েছে।
রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট কংগ্রেসের
কংগ্রেস সাংসদ অজয় মাকেন বলেন, 'কংগ্রেস এবং তৃণমূল সাংসদরা মুলতুবি প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে নির্বাচন কমিশন নিজেই স্বীকার করেছে যে সারা দেশে অনেক লোকের ভোটার তালিকার নম্বর একই। নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে ভোটার তালিকা থেকে মানুষের নাম বাদ দেওয়া হয় বা যুক্ত করা হয়, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত। এটা গণতন্ত্রের প্রশ্ন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার অনুমতি দেননি, তাই আমরা ওয়াকআউট করে বেরিয়ে এসেছি। আমরা এই বিষয়গুলি উত্থাপন করে যাব।'
আম আদমি পার্টিও এই অভিযোগগুলো করেছে
আম আদমি পার্টির ((AAP) সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, 'নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকার, অর্থাৎ ক্ষমতাসীন দল, একঙ্গে জাল ভোটার তৈরির জন্য সরকারি যন্ত্রপাতির অপব্যবহার করছে। তারা মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং দিল্লিতে এটা করেছিল, এখন তারা বাংলাতেও একই কাজ শুরু করেছে। যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু না হয়, তাহলে একই দল ক্ষমতায় আসতে থাকবে এবং দুর্নীতিতেও লিপ্ত হবে।'