ঔরঙ্গাবাদ থেকে গয়ার পথে নতুন সমীকরণ? ‘ভোট অধিকার যাত্রা’ থেকে তেজস্বী প্রসাদ যাদবের ঘোষণা, 'আমাদের গাটবন্ধন সরকার আনুন, আমরা রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করব।' তাঁর এই মন্তব্যকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ এবারই প্রথম কংগ্রেস বাদে INDIA জোটের কোনও দলনেতা সরাসরি রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সমর্থন জানালেন। স্বাভাবিকভাবেই তেজস্বীর এই ঘোষণা কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে। এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র কংগ্রেসই রাহুলকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তুলে ধরেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তেজস্বীর এই বার্তায় শুধু বিহারেই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও নতুন করে আলোচনা শুরু হবে।
তবে এদিন এই বিষয়ে রাহুলকে পাল্টা কিছু বলতে দেখা যায়নি। খালি সৌজন্যমূলক হাসি দেখা যায় তাঁর মুখে। সোমবার শুরু থেকেই SIR ইস্যুতে বারবার কেন্দ্রকে নিশানা করেন রাহুল। বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিংবা নির্বাচন কমিশন, কারও ভয় পাই না। ভোট চুরির আসল সত্যিটা আমি সবার সামনে তুলে ধরব।'
তেজস্বী পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান। তিনি বলেন, 'গরিব মানুষের কাছ থেকে জমির কাগজ চাওয়া মানেই ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া।'
এদিন 'ভোট অধিকার যাত্রা'য় রাহুল SIR এ ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে, এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন। সুনীল ওরাঁও নামের এক জমিহীন শ্রমিক অভিযোগ করেন, জমির কাগজ না থাকায় তাঁর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। অথচ তিনি ২০২৪ লোকসভা ভোটে ভোট দিয়েছেন। আরও কয়েকজন দিনমজুরও একই অভিজ্ঞতার কথা জানান। চাসলা গ্রামের রঞ্জু দেবী জানান, তাঁদের পরিবারের ছয় সদস্যের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। অথচ এর আগের প্রতিটি নির্বাচনেই তাঁরা ভোট দিয়েছেন।
রাহুল পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে লেখেন, 'SIR হচ্ছে ভোট চুরির নতুন অস্ত্র। এঁরা ২০২৪ এ ভোট দিয়েছেন, অথচ বিধানসভা ভোটের আগে গণতন্ত্র থেকে তাঁদের পরিচয় মুছে দেওয়া হল।'
রবিবার সাসারাম থেকে রাহুলের 'ভোট অধিকার যাত্রা' শুরু হয়েছে। ২৫ জেলা ঘুরে ১ সেপ্টেম্বর পাটনার গান্ধী ময়দানে এটি শেষ হবে।