রাহুল গান্ধী ও রেণুকা চৌধুরী।-ফাইল ছবিকংগ্রেস সাংসদ রেণুকা চৌধুরী নিজের পোষা কুকুরকে সংসদে নিয়ে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে চলছে শোরগোল। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ব্যঙ্গ-রসিক ভঙ্গিতে বলেন, 'এটাই কি এখন সংসদের সবচেয়ে বড় সমস্যা? বেচারা কুকুরটা কী করেছে?'
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল স্পষ্টভাবেই জানান, তিনি এ ঘটনার মধ্যে অতিরিক্ত বিতর্ক দেখছেন না। তিনি বলেন, 'আমার মনে হচ্ছে আজকের সবচেয়ে বড় ইস্যু যেন ওই কুকুরটাই! এখানে কি কুকুরদের ঢোকা নিষেধ? পোষা প্রাণীদেরও কি প্রবেশ নিষেধ?' তাঁর কথায় স্পষ্ট, তিনি এই বিতর্ককে যথেষ্ট তুচ্ছ মনে করছেন। শেষে খানিক রসিকতা করে বলেন, 'মনে হচ্ছে আজকাল ভারত এমন বিষয় নিয়েই ব্যস্ত।'
রেণুকা চৌধুরীর কুকুর নিয়ে সংসদকাণ্ড
শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই নজিরবিহীন দৃশ্য, রেণুকা চৌধুরী নিজের ছোট পোষা কুকুরকে কোলে নিয়ে সংসদে হাজির হন। উচ্চ-নিরাপত্তা এলাকা হওয়ায় ঘটনাটি মুহূর্তে বিতর্কের জন্ম দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক মহল, সবখানেই শুরু হয় তুমুল আলোচনা। প্রশ্ন উঠতে থাকে, সংসদের নিয়ম কি পোষা প্রাণী আনার অনুমতি দেয়? নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও কি আলাদা নিয়ম থাকা উচিত?
রেণুকা চৌধুরীর জবাব
বিতর্ক বাড়তেই প্রতিক্রিয়া দেন রেণুকা চৌধুরী। তিনি বলেন, 'কুকুরটি খুবই ছোট এবং একেবারে নিরীহ। সরকার হয়তো ভেতরে প্রাণী থাকা পছন্দ নাও করতে পারে, কিন্তু এতে সমস্যা কী? এটা কাউকে কামড়াবে না।' এরপরই কটাক্ষ করে বলেন, 'যদি কামড়ানোর ভয় থাকে, তা কুকুর নয়… বরং সংসদের ভেতরেই কিছু মানুষ আছেন যাদের থেকে বরং বেশি সাবধান থাকা উচিত।' তাঁর এই মন্তব্যে হাসির রোল পড়লেও বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে।
রাজনৈতিক বার্তাই কি বড়?
রেণুকার কুকুর নিয়ে সংসদের ভেতরে এই ঘটনা যেমন নিরাপত্তার নিয়ম-কানুন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তেমনই রাহুল গান্ধীর বক্তব্য ইঙ্গিত দিয়েছে, দেশের বড় বড় সমস্যার বদলে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অযথাই উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে।