অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে সারা দেশে ১৩০৯টি স্টেশনের খোলনলচে বদলে ফেলা হবে। এই প্রকল্পের একটি অংশ হিসাবে, প্রধানমন্ত্রী ৫০৮টি স্টেশন পুনর্নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন। এই স্টেশনগুলি ২৪,৪৭০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে পুনর্নির্মাণ করা হবে। শহরের উভয় দিকের যথাযথ একীকরণের সঙ্গে এই স্টেশনগুলিকে ‘সিটি সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। এই সমন্বিত পদ্ধতিটি রেল স্টেশনকে কেন্দ্র করে শহরের সামগ্রিক নগর উন্নয়নের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
আগামী ৬ অগস্ট ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত স্টেশনগুলির উন্নয়ন পরিকল্পনার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রেল সূত্রে খবর, চলতি বছরেই হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাচ্ছে। সেটা হলে তার প্রভাব শিয়ালদহ স্টেশনেও পড়বে। প্রতি ঘণ্টায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার যাত্রীর চাপ নিতে হতে পারে ১৬১ বছর বয়সের শিয়ালদহ স্টেশনকে। সেটা মাথায় রেখেই দ্রুত শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে চায় রেল।
শিয়ালদহ স্টেশনে প্রতিদিন কৃষ্ণনগর থেকে ক্যানিং, বনগাঁ থেকে বারুইপুর শহরতলিরর অসংখ্য মানুষ এই স্টেশনে নেমেই ছড়িয়ে পড়েন কলকাতায়। দূরপাল্লার ট্রেনের জন্যও শিয়ালদহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২০২৩-২৪ সালের রেল বাজেটে ১১,৯৭০ কোটি টাকার রেকর্ড বরাদ্দের সঙ্গে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে স্টেশন পুনঃ উন্নয়ন পশ্চিমবঙ্গে আরও রেলকেন্দ্রিক উন্নয়ন আনবে। আরও বিনিয়োগ, আরও কর্মপ্রবাহ, আরও কর্মসংস্থান উভয়ই পশ্চিমবঙ্গে স্টেশন পুনঃউন্নয়নের জন্য নির্মাণ কাজের সময় এবং সম্পাদনা পরবর্তী সময়ে যখন রেলওয়ে স্টেশনগুলি স্থানীয় একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে উঠবে।
কোন কোন স্টেশনের ভোলবদল
ব্যারাকপুর, চাঁদপাড়া, আসানসোল, বর্ধমান, কাটোয়া, পাণ্ডবেশ্বর, রামপুরহাট, বোলপুর শান্তিনিকেতন, শেওরাফুলি, অম্বিকা কালনা, তারকেশ্বর, শিয়ালদহ, মালদা টাউন, আজিমগঞ্জ, নিউ ফরাক্কা জং, বহরমপুর কোর্ট, কৃষ্ণনগর সিটি, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রামপুরহাট।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের স্টেশনগুলি
নিউ আলিপুরদুয়ার জং, দলগাঁও, ফালাকাটা, দিনহাটা, ডালখোলা, কালিয়াগঞ্জ, আলুবাড়ি রোড, ধুপগুড়ি, জলপাইগুড়ি রোড, বিন্নাগুড়ি, নিউ মাল জং, হাসিমারা, কামাখ্যাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, হলদিবাড়ি, সামসি।
এই সমস্ত অমৃত ভারত স্টেশনগুলিতে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট (ওএসওপি) স্টলের জন্য জায়গা থাকবে। এখন পূর্ব রেলওয়ে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি অনুঘটক হিসাবে এবং স্থানীয় পণ্যগুলিকে বৃহত্তর বাজারে আনার জন্য প্ল্যাটফর্ম হিসাবে স্টেশনগুলিকে পুনঃবিকাশ করার জন্য প্রস্তুত বলে রেল জানিয়েছে।