রেলকর্মীদের জন্য সুখবর। শীঘ্রই উৎসবের মরসুমের বোনাসের প্রস্তাবে সিলমোহর দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধুমাত্র নন গেজেটেড রেলকর্মীদের এই বোনাস দেওয়া হবে। সামনেই দুর্গাপুজো ও দীপাবলি। তার আগে এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া রেলকর্মীদের মহলে। গত বছর প্রায় ১১ লক্ষ কর্মী এই বোনাস পেয়েছিলেন। উৎসবের আগে কর্মীদের এই বাড়তি টাকা আসায় যেমন তাঁদের লাভ হবে, তেমনই এর অর্থনৈতিক গুরুত্বও অপরিসীম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অন্য়তম বড় নিয়োগকারী সংস্থা রেল। তাদের কর্মীদের হাতে বাড়তি টাকা দিলে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ে। উৎসবের মরসুমের আগে তাঁরা বেশি বেশি খরচ করবেন। তাতে দেশের রিটেল মার্কেটেও উল্লেখযোগ্য হারে বিক্রিবাটা বাড়বে। উৎসবের আগে তাতে বাজার চাঙ্গা হবে।
এমনিতেই সম্প্রতি জিএসটি ২.০ চালু হয়েছে। তার উপর এবার শীঘ্রই বিভিন্ন সরকারি সত্ত্বা কর্মীদের বোনাস দিতে শুরু করবে। ব্যবসায়ীদের মতে, এতে দেশজুড়ে উৎসবের সময়ে খরচের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষত, একাধিক পণ্যে জিএসটি কমানোর পর বাজার আরও চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উৎসবের মরশুমে রেলকর্মীদের হাতে বাড়তি টাকা পৌঁছলে ভোগ প্রবণতা বাড়বে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎসবের আগে এরকম বোনাস শুধুমাত্র সেই পরিবারগুলিতেই নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়ে। ইলেকট্রনিক্স, পোশাক থেকে শুরু করে উৎসবের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, সব ক্ষেত্রেই চাহিদা বাড়ে। এর ফলে বাজারে টাকার ফ্লো বৃদ্ধি পায়।
এই সমস্ত দিক মাথায় রেখেই সরকার বোনাস দিয়ে থাকে। কারণ টাকার ফ্লো বজায় রাখতে চাকরিজীবীদের হাতে বাড়তি টাকা আসা অত্যন্ত জরুরি। সেই প্রেক্ষিতে রেলকর্মীদের দীপাবলির বোনাসে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ছবিতেই প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।