Railway Minister Ashwini Vaishnaw: বিমানের মতো অতিরিক্ত লাগেজে ফাইন? স্পষ্ট করলেন রেলমন্ত্রী

রেলযাত্রীদের মধ্যে সম্প্রতি এক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল, বিমানের  মতো রেলেও লাগেজের ওজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। তবে এই দাবি স্পষ্টভাবে নসাৎ করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। 'আজতকে'র এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, রেলপথে লাগেজ বহনের ক্ষেত্রে বহু দশক ধরে কিছু নিয়ম চালু রয়েছে, তবে নতুন কোনও নিয়ম কার্যকর করা হয়নি।

Advertisement
বিমানের মতো অতিরিক্ত লাগেজে ফাইন? স্পষ্ট করলেন রেলমন্ত্রী
হাইলাইটস
  • রেলযাত্রীদের মধ্যে সম্প্রতি এক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল, বিমানের  মতো রেলেও লাগেজের ওজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে।
  • তবে এই দাবি স্পষ্টভাবে নসাৎ করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

রেলযাত্রীদের মধ্যে সম্প্রতি এক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল, বিমানের  মতো রেলেও লাগেজের ওজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। তবে এই দাবি স্পষ্টভাবে নসাৎ করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। 'আজতকে'র এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, রেলপথে লাগেজ বহনের ক্ষেত্রে বহু দশক ধরে কিছু নিয়ম চালু রয়েছে, তবে নতুন কোনও নিয়ম কার্যকর করা হয়নি।

রেলমন্ত্রী বলেন, 'রেলে বিমানের মতো লাগেজ ভাড়ার কোনও নিয়ম নেই। শুধু একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বিনামূল্যে লাগেজ বহনের সুযোগ রয়েছে। সেই সীমা ছাড়িয়ে গেলে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি কোনও নতুন সিদ্ধান্ত নয়, বহু বছর ধরেই নিয়মের আওতায় আছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, যাত্রীদের লাগেজ বেশি হলে বিমানবন্দরের মতো ভাড়া কাটা হবে বা জরিমানা করা হবে।'

বিভিন্ন শ্রেণিতে লাগেজ বহনের নিয়ম
রেলপথে যাত্রীদের শ্রেণি অনুযায়ী নির্দিষ্ট ওজন পর্যন্ত লাগেজ বিনামূল্যে বহনের অনুমতি রয়েছে—
প্রথম শ্রেণীর এসি কোচ : সর্বোচ্চ ৭০ কেজি
এসি ২ টিয়ার কোচ : সর্বোচ্চ ৫০ কেজি
এসি ৩ টিয়ার ও স্লিপার শ্রেণী : সর্বোচ্চ ৪০ কেজি
সাধারণ টিকিটধারী যাত্রী : সর্বোচ্চ ৩৫ কেজি

মন্ত্রী আরও জানান, লাগেজের আকার বা ওজন মাপার জন্য স্টেশনে বিমানবন্দরের মতো ইলেকট্রনিক স্ক্যানিং বা বাধ্যতামূলক চেকিং ব্যবস্থা চালু করা হয়নি। ফলে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

উৎসবের সময় বিশেষ ট্রেন
বিহার নির্বাচন ও উৎসবের সময় বিশেষ ট্রেন চালানো নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, 'দীপাবলি ও ছঠের মতো বড় উৎসবে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়ি ফেরেন, সেই চাহিদা মেটাতেই বিশেষ ট্রেন চালানো হয়। গত বছর প্রায় ৭ হাজার বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছিল, এ বছর সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ১২ হাজার করা হয়েছে। একইভাবে মহাকুম্ভ, গণেশ চতুর্থী বা অন্যান্য উৎসবের সময়ও রাজ্যভেদে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।'
 

 

POST A COMMENT
Advertisement