মহারাষ্ট্রে মহা রাজনীতি। ২০ বছর পর তুতো ভাই উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে একমঞ্চ ভাগ করছেন রাজ ঠাকরে। ভাইকে পাশে নিয়ে শনিবার মঞ্চ থেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে একহাত নিলেন তিনি। তাঁর কথায়, 'যা স্বয়ং বালাসাহেব ঠাকরে করতে পারেননি তা করে দেখালেন দেবেন্দ্র ফড়নবীস।'
মহারাষ্ট্রের সমস্ত প্রাইমারি স্কুলে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক তৃতীয় ভাষার স্থান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল BJP নেতাত্বাধীন জোট সরকার। তিন ভাষা ফর্মুলার বিরুদ্ধে একসুরে সরব হয়েছিলেন একদা বিরোধী দুই ভাই রাডজ ও উদ্ধব ঠাকরে। এই ইস্যুতেই এবার একসঙ্গে এক মঞ্চে এলেন তাঁরা। রিইউনিয়ন হল ঠাকরে ব্রাদার্সের।
ভয়েস অফ মারাঠি নামে বিজয় উৎসব উদযাপন মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ ঠাকরে বলেন, 'যে কোনও রাজনীতি এবং ঝগড়ার অনেক ঊর্ধ্বে হল মহারাষ্ট্র। আজ ২০ বছর পর উদ্ধব এবং আমি একসঙ্গে এসেছি। বালাসাহেব যা কখনও করতে পারেনি, দেবেন্দ্র ফড়নবীস তা করে দেখালেন। আমাদের দু'জনকে একসঙ্গে নিয়ে এলেন তিনি।'
মুম্বইয়ের ওর্লি এলাকার এই অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন বহু সংখ্যক মারাঠি ভাষাভাষি মানুষ। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পালাবদলের ইতিহাসে এই দিনটিও যুক্ত হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
উদ্ধব ঠাকরেও এদিন মঞ্চ থেকে বলেন, 'হিন্দু এবং হিন্দুস্তান মেনে নেওয়া যায় তবে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া কিছুতেই মানব না। হিন্দুত্ববাদ কারও একচেটিয়া নয়। আমাদের হিন্দুত্বের শিকড় অত্যন্ত গভীর। আমাদের যেন কেউ হিন্দুত্বের পাঠ শেখাতে না আসে। ১৯৯২ সালে মারাঠিরাই হিন্দুদের রক্ষা করেছিল।' ভাইয়ের সঙ্গে রিইউনিয়ন প্রসঙ্গে বাল ঠাকরে পুত্র বলেন, 'আমরা এখানে একসঙ্গে থাকব বলেই এক মঞ্চে এসেছি। মারাঠি ভাষা রক্ষার্থে আমরা একসঙ্গে এসেছি।' মঞ্চের মধ্যেই শিবসেনা (উদ্ধবপন্থী) প্রধান এবং মহারাষ্ট্র নির্বান সেনা (MNS)-এর নেতা। এই যৌথ অনুষ্ঠানে একে অন্যকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায় রাজ ও উদ্ধবকে।
এই মহারাষ্ট্রেই নির্বাচনের আগে প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, 'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে'। সেই স্লোগান ধার করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধেই তীব্র কটাক্ষ করলেন ঠাকরে ব্রাদার্স। তাঁরা বলেন, 'এবার আমরা বুঝতে পারছি, বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গের আসল অর্থ।'