Kota Suicide Incidents: প্রতিযোগিতা বাড়ছে। চাপ বাড়ছে। আর সেই সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। রাজস্থানের কোটায় পাঠরতদের করুণ মানসিক অবস্থা যেন ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকার প্রস্তুতির দৌড়ে ক্লান্ত পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। কখনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার চাপ। কখনও আবার অভিভাবকদের প্রত্যাশা পূরণের চাপ। একের পর এক ছাত্র মৃত্যুর কঠিন পথ বেছে নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। এবার সেই বিষয়েই বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রতি ১৫ দিনে পড়ুয়াদের মনস্তাত্বিক পরীক্ষা করা হবে। কোনও পড়ুয়ার মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা হলে তা আগে থেকেই শনাক্ত করাই এর লক্ষ্য। পরীক্ষার পর যেসকল ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে এই ধরনের লক্ষণ পাওয়া যাবে, তাঁদের কাউন্সেলিংও করা হবে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য, কোটার কালেক্টর ওপি বাঙ্কার কোচিং ইনস্টিটিউট, হোস্টেলগুলির সঙ্গে একটি জেলা পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর কালেক্টর বলেন, প্রশাসন এখন প্রতি ১৫ দিনে পড়ুয়াদের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করাবে। কোচিং ইনস্টিটিউট ছাড়াও হোস্টেল এবং পিজির মারফত পড়ুয়াদের পরীক্ষা করা হবে।
কালেক্টর ওপি বাঙ্কার জানিয়েছেন পড়ুয়াদের মানসিক অবস্থার পরীক্ষা করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এই বৈঠকে, কোটার এসপি শরদ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই বিষয়ে অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধি দল গঠনের সুপারিশ করেছেন। অভিভাবকরাও যাতে পড়ুয়াদের উপর অযাচিত চাপ সৃষ্টি না করেন, সেই বিষয়ে সচেতনতার প্রসার করাই এই প্রতিনিধি দলের কাজ হবে।
চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কোটায় ১৯ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে। তার মধ্যে গত ১০ দিনেই ৩ জন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোটার বিষয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
রাজস্থানের কোটায় চারদিকে শুধুই বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির কোচিং সেন্টার। দেশের নানা রাজ্য থেকে এখানে পড়ুয়ারা NEET, AIEEE, UPSC-র মতো কঠিন প্রবেশিকার প্রস্তুতি নিতে আসে।
অনেকেই এই কঠিন পড়াশোনা, পরীক্ষার ইঁদুর দৌড়ের চাপ সহ্য় করতে পারে না। কিন্তু পরিবারের প্রত্যাশা বজায় রাখতে না পারা, ব্যর্থতা, বাড়ি ফেরা নিয়ে লজ্জা থেকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। আর সেই কারণেই কোটায় প্রতি বছরই বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা। পড়ুয়াদের জীবন নিয়ে ইউটিউবে জনপ্রিয় সিরিজ 'কোটা ফ্যাক্টরি'ও রয়েছে।
গত বছর কোটায় ১৫ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিল।