রাজস্থানের উদয়পুরে প্রকাশ্যে এল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা, যা দিল্লির বুরারিকাণ্ডের স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনল। উদ্ধার হল একই পরিবারের ৬ জনের দেহ। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৪ শিশুও। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উদয়পুরের গোগুন্দা তহসিলের গোল নেড়ি গ্রামে।
সিলিং থেকে ঝুলছে ৪টি দেহ, বাকি ২টি মাটিতে
জানা গিয়েছে, ওই গ্রামেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন প্রকাশ গমেতি। পরিবারে ছিলেন তাঁর স্ত্রী দুর্গা গমেতি ও তাঁদের ৪ সন্তান। সন্তানদের মধ্যে গণেশের বয়স ৮ বছর, পুষ্করের বয়স ৫ বছর, রোশনের বয়স ৩ বছর এবং গঙ্গারামের বয়স ৩ থেকে ৪ মাস।
গ্রামে আলাদা আলাদ বাড়িতে বাসবাস করতেন প্রকাশ গমেতি ও তাঁর ভাইয়েরা। প্রকাশ গুজরাতে কাজ করতেন। তবে বর্তমানে বাড়িতেই ছিলেন। এদিন সকালে প্রকাশকে ডাকতে যান তাঁর ভাই। কিন্তু অনেক ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা খোলেননি। যার জেরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান প্রকাশের ভাই। ইতিমধ্যেই সেখানে জড়ো হন গ্রামবাসীরা। সকলে মিলে দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। দরজা ভাঙতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে সবার। তাঁরা দেখেন সিলিং থেকে ঝুলছে ৪টি দেহ। আর ২টি দেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে।
প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার অনুমান
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ডাকা হয় ডগ স্কোয়াড ও ফরেন্সিক দলকেও। গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করে ফরেন্সিক দল। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে যে আর্থিকভাবে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছলেন প্রকাশ ও তাঁর ভাইয়েরা। সেক্ষেত্রে আত্মহত্যার একটা সম্ভাবনা উঠে আসছে পুলিশের কাছে।
অন্যদিকে আবার, প্রকাশের স্ত্রীয়ের দেহে চোট পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ কর্মীদের অনুমান, প্রথমে হয়ত নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের গলা টিপে হত্যা করে প্রকাশ। তারপর ২ সন্তানের দেহ ঝুলিয়ে দেয়। এরপর সবচেয়ে ছোট সন্তান ও স্ত্রীয়ের দেহ মাটিতে ফেলে রেখে, সব শেষে নিজে আত্মহত্যা করে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - পুরুষদের চনমনে রাখে এই সবজির বীজ, বাড়ে বাবা হওয়ার ক্ষমতা