Rajiv Gandhi assassination Case: রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে নলিনী-সহ ৬ দোষীর সাজামুক্তির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

এই ছয় জনের মধ্যে রয়েছেন নলিনী ও আরপি রবিচন্দ্রণ। তাঁরা সকলেই রাজীব হত্যায় যাবজ্জীবনের সাজা প্রাপ্ত কয়েদি।

Advertisement
রাজীব হত্যাকাণ্ডে নলিনী-সহ ৬ দোষীর সাজামুক্তির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টেররাজীব গান্ধী- ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • ১৯৯১-এর ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে হত্যা করা হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে।
  • জনৈক মহিলা তাঁকে মালা পরিয়েছিলেন। তার পরই বোমা ফাটে।

রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় ৬ হত্যাকারীকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ছয় জনের মধ্যে রয়েছেন , নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। তাঁরা সকলেই রাজীব হত্যায় যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত। আদালতের নির্দেশ, দোষীদের বিরুদ্ধে অন্য কোনও মামলা না থাকলে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হোক।

সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে দোষীদের মুক্তির আবেদনে সাড়া দিচ্ছেন না রাজ্যপাল। তাই আদালতকে পদক্ষেপ করতে হচ্ছে। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত পেরারিভালনের মুক্তির নির্দেশ বাকিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উল্লেখ্য চলতি বছরের মে মাসে পেরারিভালনের সাজামুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। জেলে ভাল আচরণের জন্য অনুচ্ছেদ ১৪২ মোতাবেক পেরারিভালনকে মুক্তি দিয়েছিল বিচারপতি এল নাগেশ্বরের বেঞ্চ।

১৯৯১-এর ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে হত্যা করা হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে। জনৈক মহিলা তাঁকে মালা পরিয়েছিলেন। তার পরই বোমা ফাটে। পরে জানা গিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই-র ধানু নামে এক মহিলা আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিলেন। বিস্ফোরণের ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মোট ৪১ জন অভিযুক্ত ছিল। এর মধ্যে ১২ জন মারা গিয়েছেন। বেপাত্তা ৩। বাকি ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের মধ্যে ভারতীয়দের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার নাগরিকরাও ছিলেন। টাডা আইনে শুরু হয়েছিল বিচার। ৭ বছর ধরে চলছিল মামলা। ১৯৯৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২৬ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় টাডা আদালত।

টাডা আদালতের রায় হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা যেত না। তাই দোষীরা সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হন।  এক বছর বাদে মামলার রায় বদলে দেয় শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। ১৯ অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়। ৭ দোষীর ফাঁসির নির্দেশ বহাল থাকে। পরে তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন- লালুর প্রাণ বাঁচাচ্ছেন মেয়ে রোহিণী, দান করছেন নিজের কিডনি

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement