scorecardresearch
 

Rajya Sabha Election 2024: ৩ রাজ্যে ১৫টি আসন, আজ চলছে রাজ্যসভার ভোট, কীভাবে হয়?

Rajya Sabha Election 2024: আজ, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটকের ১৫টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিধায়করা আজ উত্তরপ্রদেশের ১০টি, কর্ণাটকের ৪টি এবং হিমাচল প্রদেশের একটি আসনে ভোট দিচ্ছেন। হিমাচলের একটি আসনে দুইজন প্রার্থী থাকলেও এখানে কংগ্রেসের পর্যাপ্ত সংখ্যা রয়েছে। হিমাচলে কংগ্রেসের জয় প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটকের একটি করে আসন নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

Advertisement
কোন অঙ্কে নির্বাচিত হন রাজ্যসভার সাংসদরা? কোন অঙ্কে নির্বাচিত হন রাজ্যসভার সাংসদরা?

 Rajya Sabha Election 2024: আজ, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটকের ১৫টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিধায়করা আজ উত্তরপ্রদেশের ১০টি, কর্ণাটকের ৪টি এবং হিমাচল প্রদেশের একটি আসনে ভোট দিচ্ছেন। হিমাচলের একটি আসনে দুইজন প্রার্থী থাকলেও এখানে কংগ্রেসের পর্যাপ্ত সংখ্যা রয়েছে। হিমাচলে কংগ্রেসের জয় প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটকের একটি করে আসন নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ১০টি আসনের জন্য ১১ জন প্রার্থী এবং কর্ণাটকের ৪টি আসনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই রাজ্যেই ক্রস ভোটিং নিয়ে সংশয় রয়েছে।  পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ প্রার্থী (তৃণমূলের ৪ এবং বিজেপি-র ১) ইতিমধ্যেই জয়ী ঘোষিত হয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশের ১০ টি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে ৭টিতে বিজেপির জয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে এনডিএর ২৮৮ জন বিধায়ক রয়েছে। এর ফলে বিজেপির ৭ প্রার্থী সহজেই জয়ী হবেন। তবে ইউপি থেকে ৮ জন প্রার্থী দিয়েছে দলটি।  উল্লেখ্য যে উত্তরপ্রদেশে, একজন প্রার্থীর জয়ের জন্য ৩৭টি ভোট প্রয়োজন। 

একটি আসনে সমস্যা
সংখ্যাগত শক্তি অনুযায়ী, ৩ জনের মধ্যে ২ জন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর জয় নিশ্চিত, তবে তৃতীয় প্রার্থী নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এসপির সমর্থনে রয়েছে ১০৮ ভোট। এর মধ্যে ২ জন কংগ্রেস বিধায়কও রয়েছেন। অষ্টম প্রার্থীর জন্য বিজেপির প্রয়োজন ৮টি ভোট এবং এসপির প্রয়োজন ৩টি ভোট। এমন পরিস্থিতিতে আজ নির্বাচনে  ক্রস ভোটিং হতে পারে।

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, লোকসভা আসনের ক্ষেত্রে সাংসদরা সরাসরি জনতার ভোটে নির্বাচিত হন। কিন্তু রাজ্যসভা আসনের ক্ষেত্রেও সাংসদরা নির্বাচিত হন জনতার মাধ্যমে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে জনতা সরাসরি ভোট দেয়না। তাদের নির্বাচিত বিধায়কদের ভোটে নির্বাচিত হন রাজ্যসভার সাংসদরা। 

Advertisement

রাজ্যসভা হল সংসদের উচ্চকক্ষ। ইংল্যান্ডের হাউস অফ লর্ডসের আদলে তৈরি রাজ্যসভা। রাজ্যসভায় বর্তমানে ২৪৫ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ২৩৩ জন নির্বাচিত সদস্য এবং ১২ জন মনোনীত। সাংবিধানিক সীমা অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের সংখ্যা ২৫০-এর বেশি হতে পারে না। ২৩৩ জন সদস্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (UTs) থেকে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাকি ১২ জন সদস্যকে শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং সামাজিক পরিষেবার জগৎ থেকে মনোনীত করেন।

কীভাবে নির্বাচিত হন রাজ্যসভার সদস্যরা?
রাজ্যসভার সদস্যরা খোলা ব্যালটে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। একটি রাজ্যের বিধানসভার সদস্যরা রাজ্যসভা নির্বাচনে ভোট দেন যাকে একক স্থানান্তরযোগ্য ভোট (STV) পদ্ধতিতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বলা হয়। প্রতিটি বিধায়কের ভোট একবার গণনা করা হয়। একজন রাজ্যসভার সদস্যের মেয়াদ ছয় বছর। সভার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য প্রতি দুই বছরে অবসর নেন এবং সেই স্থানে নতুন সদস্য নির্বাচিত হন। প্রত্যেক সদস্য ছয় বছর মেয়াদে তাদের দায়িত্ব পালন করেন। মেয়াদ উত্তির্ন হওয়া বাদে মৃত্যু, অযোগ্যতা অথবা পদত্যাগের ক্ষেত্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজ্যসভার ভোটের পদ্ধতি
যেহেতু বিধায়করা রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচন করেন, তাই এটা মনে হতে পারে লোকসভায় যে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা বেশি তারাই উচ্চকক্ষে আরও সাংসদ পাঠাবে।যদিও সবসময় তা হয়না। ভোটিং সিস্টেমে, বিধায়করা প্রতিটি আসনের জন্য ভোট দেন না। বিধায়কদেরকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রার্থীর ক্রমতালিকা তৈরি করতে হয়। যদি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটার তাদের প্রথম পছন্দ হিসাবে একজন প্রার্থীকে বেছে নেয়, তাহলে তিনি নির্বাচিত হন। অবশিষ্ট ভোট পরবর্তী প্রার্থীদের কাছে যায়, কিন্তু তার মূল্য কম। তাই, বিধায়করা অন্য দলের প্রার্থীদেরকেও ভোট দেন। একজন বিধায়কের যে প্রার্থীকে প্রথম র‍্যাঙ্ক দেন তিনি প্রথম পছন্দের ভোট পান। বিজয়ী হওয়ার জন্য, একজন প্রার্থীকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রথম পছন্দের ভোট পেতে হয়। এই সংখ্যাটি সেই বিধানসভার সদস্যসংখ্যা এবং রাজ্যসভায় কতজন সাংসদ সেই রাজ্য থেকে যাবেন তার উপর নির্ভর করে। জয়ী হওয়ার জন্য, একজন প্রার্থীকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পেতে হয়। একে কোটা অথবা প্রেফারেন্স ভোট বলে। এই নির্বাচনে জয়লাভের জন্য যে ফর্মুলা ব্যবহার করা হয় তা হল [মোট ভোটের সংখ্যা/(রাজ্যসভা আসনের সংখ্যা + ১)] + ১।  যদি একটি রাজ্য থেকে একাধিক রাজ্যসভার আসন পূরণের প্রয়োজন হয় তাহলে এই ফর্মুলার পরিবর্তন করা হয়। ক্ষেত্রে একজন প্রার্থীর জয়ের জন্য মোট ভোটের সংখ্যা হতে হবে [(ভোটের সংখ্যা x ১০০) / (শূন্যপদ + ১)] + ১।

Advertisement