Ram Vilas Vedantiপ্রয়াত রামবিলাস দাস বেদান্তি। অযোধ্যার রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম স্থপতি ছিলেন তিনি। সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। এক সময় অযোধ্যার সাংসদ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই আন্দোলনকে জনমানসে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। রামবিলাসের মৃত্যুতে সাধু সম্প্রদায় জগতে শোকের ছায়া।
গত ১০ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় গিয়েছিলেন রামবিলাস। সেখানে তিনি রামকথা পরিচালনা করছিলেন। তবে বুধবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাঁকে তখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালান। তবে ব্যর্থ হন। চিকিৎসা চলাকালীনই মারা যান তিনি।
১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন বেদান্তি। তিনি শুরু থেকেই একজন সক্রিয় ধর্মীয় নেতা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। তবে প্রচারে আসেন রাম জন্মভূমি আন্দোলনের দৌলতে। ১৯৮০ এর দশক থেকে তিনি রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দেশব্যাপী প্রচারের কাজে নেতৃত্ব দেন। আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাম জন্মভূমি ন্যাস এবং অযোধ্যার রাম বৈদেহী মন্দির ধর্মশালার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর রামমন্দির আন্দোলনের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী দিন ছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর করা এক মন্তব্য আলোড়ন ফেলে দেয়। কিন্তু জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। যদিও বাবরি মসজিদ মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। পরে মুক্তি পান।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রামবিলাসের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন। এক্স হ্য়ান্ডেলে লেখেন, 'শ্রী রাম জন্মভূমি আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট স্তম্ভ, প্রাক্তন সাংসদ এবং অযোধ্যা ধামের বশিষ্ঠ আশ্রমের শ্রদ্ধেয় সন্ত ডঃ রামবিলাস বেদান্তীজি মহারাজের মৃত্যু আধ্যাত্মিক জগৎ এবং সনাতন সংস্কৃতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁর প্রয়াণ একটি যুগের সমাপ্তি। ধর্ম, সমাজ এবং জাতির সেবায় নিবেদিত তাঁর ত্যাগের জীবন আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা। আমি ভগবান শ্রী রামের কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি তাঁর বিদেহী আত্মাকে চরণে স্থান দেন এবং তাঁর শোকাহত শিষ্য ও অনুসারীদের এই অপরিসীম ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দান করেন।'
উত্তর প্রদেশের দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রিজেশ পাঠক-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নেতা বেদান্তীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।