ইতিমধ্যেই অযোধ্যা রামমন্দিরে রামের মূর্তি প্রকাশ্যে এসেছে। মূর্তির মাথায় মুকুট এবং হাতে একটি ধনুক ও তীর রয়েছে। ফুলের মালা ও গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিমা। এই মূর্তি থেকে বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার আভাস স্পষ্টভাবে দেখা যায়। যা প্রথম দর্শনেই রাম ভক্তদের আকৃষ্ট করে। ভগবান রামের কপালে লাগানো তিলক সনাতন ধর্মের মাহাত্ম্য দেখায়। মূর্তিটিতে সূর্য, ওম, গণেশ, চক্র, শঙ্খ, গদা, স্বস্তিক এবং হনুমানের মূর্তি রয়েছে। ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ রামলালার এই মূর্তিটিকে দিব্য ও মহিমান্বিত করেছেন।
রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে উপস্থিত রামলালার মূর্তির অনেক গুণ রয়েছে। শ্যাম শিলার বয়স হাজার বছর, এটি জল প্রতিরোধী। পা থেকে কপাল পর্যন্ত মূর্তির মোট উচ্চতা ৫১ ইঞ্চি। প্রতিমার ওজন প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ কেজি। মূর্তির উপরে একটি মুকুট শোভা পাচ্ছে। রামের হাত হাঁটু পর্যন্ত লম্বা। চোখ দুটো বড়। কপাল বড় বড়। মূর্তিটি পদ্ম পুকুরের উপর দাঁড়িয়ে আছে। রামলালার হাতে তীর-ধনুক, ৫ বছরের শিশুসদৃশ কোমলতা প্রতিমায় ফুটে উঠবে।
বিগ্রহে দেখা যাবে ভগবান বিষ্ণুর ১০টি অবতার। মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নরসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ এবং কল্কি অবতার। মূর্তিটিতে হনুমান ও গুরানের মূর্তিও রয়েছে। মূর্তির প্রস্থ তিন ফুট। প্রাণ প্রতিষ্ঠা কর্মসূচির জন্য আচার্যদের তিনটি দল গঠন করা হয়েছে। গর্ভগৃহে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রাণ প্রতিষ্টার চারদিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। প্রতিমায় দেখা যাবে রামলালার শিশুরূপ। তার গায়ের রং শ্যাম।
১৯ জানুয়ারি থেকে অস্থায়ী মন্দিরে রামলালার দর্শনও বন্ধ হয়ে গেছে। ২২ জানুয়ারী পবিত্র হওয়ার পর, ২৩ জানুয়ারি থেকে ভক্তরা নতুন মন্দিরে দর্শন পাবেন। বৃহস্পতিবার যখন গর্ভগৃহে রামলালাকে স্থাপিত করা হয়েছিল, তখন মূর্তিটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। তারপর গভীর রাতে আরও একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে, যেখানে রামলালার মূর্তির উপর একটি চোখ বাঁধা ছিল। পুরনো মূর্তি রাখা হবে নতুন মন্দিরে। প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস জানান, বর্তমানে অস্থায়ী মন্দিরে থাকা রামলালার মূর্তিও একই জায়গায় রাখা হবে। প্রাণ প্রতিষ্টা সম্পন্ন হলেই মানুষ উভয় মূর্তি পুজো করতে পারবে। সত্যেন্দ্র দাস জানান, দুটি মূর্তিই গর্ভগৃহে থাকবে। সিংহাসন-সহ পুরোনো মূর্তি গর্ভগৃহে গেলে নতুন মূর্তির পাশে রাখা হবে, সিংহাসন না থাকলে ছোট মূর্তি সামনে রাখা হবে।