আজ, সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে গর্ভগৃহে অধিষ্ঠিত রামলালাল বিগ্রহের 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা'ও করবেন তিনি। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব অযোধ্যায়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে অন্তত ৮০০০ মানুষ উদ্বোধনের সময়ে অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। যাবেন তারকারাও অতিথিরাও। ইতিমধ্যে অনেকে পৌঁছেও গিয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছে যাওয়ার কথা মোদীর। তার পর সারা দিন ধরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ৪ ঘণ্টা অযোধ্যায় থাকবেন মোদী।
জানা গেছে ১০টা ২৫ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা তাঁর। মন্দিরে পৌঁছবেন ১০টা ৫৫ মিনিটে। সাড়ে ১০টার মধ্যে অতিধিরা পৌঁছে যাবেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় ১২টা ২৯ মিনিট ৩ সেকেন্ড থেকে ১২টা ৩০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী মোদী যোগী আদিত্যনাথ এবং মোহন ভাগবত অনুষ্ঠানের পরে তাদের বার্তা দেবেন এবং আশীর্বাদ দেবেন মহন্ত গোপাল দাস। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শুরু হবে পবিত্রতার অনুষ্ঠান। প্রাণপ্রতিষ্ঠার মূল পুজো হবে অভিজিৎ মুহুর্তে।
রামলালার জীবনাদর্শের সময় নির্ধারণ করেছেন কাশীর পণ্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। এই অনুষ্ঠানটি পৌষ মাসের দ্বাদশীতিথিতে অভিজিৎ মুহুর্ত, ইন্দ্র যোগ, মৃগাশিরা নক্ষত্র, মেষ লগ্ন এবং বৃশ্চিক নবমশায় অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ প্রাণ প্রতিষ্ঠার শুভ সময় মাত্র ৮৪ সেকেন্ড।
কাশীর বিখ্যাত বৈদিক আচার্য গণেশ্বর দ্রাবিড় এবং আচার্য লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের নির্দেশনায় ১২১ জন বৈদিক আচার্য এই অনুষ্ঠানটি করবেন। এ সময় দেড় শতাধিক ঐতিহ্যের সাধক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং অর্ধশতাধিক আদিবাসী, উপজাতি, উপকূলীয়, দ্বীপ ও উপজাতি ঐতিহ্যের নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। সমস্ত পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত বার্তা দেবেন। আশীর্বাদ দেবেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সভাপতি মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস।
সোমবার চার ঘণ্টা অযোধ্যায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অযোধ্যা বিমানবন্দর এবং ১০টা ৫৫ মিনিটে রাম জন্মভূমি পৌঁছাবেন। প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে তিনি দুপুর ১টায় রওনা হবেন এবং সমাবেশে ভাষণ দেবেন। এরপর কুবের টিলা পরিদর্শন করে দুপুর ২টোয় দিল্লি ফিরবেন।
অভিষেক অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর 'রাম জ্যোতি' জ্বালিয়ে দীপাবলি উদযাপন করা হবে। সন্ধ্যায় প্রদীপে জ্বলবে অযোধ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ি, দোকান, স্থাপনা ও পৌরাণিক স্থানে জ্বালানো হবে 'রাম জ্যোতি'। সরযূ নদীর তীর থেকে মাটির তৈরি প্রদীপ দিয়ে আলোকিত হবে অযোধ্যা। রামলালা, কনক ভবন, হনুমানগড়ী, গুপ্তারঘাট, সর্যু বিচ, লতা মঙ্গেশকর চক, মণিরাম দাস সেনানিবাস সহ ১০০টি মন্দির, প্রধান মোড়ে এবং সর্বজনীন স্থানে প্রদীপ জ্বালানো হবে।