scorecardresearch
 

Adhir Chowdhury: NDA শিবিরে যোগ দিন, অধীরকে খোলামেলা প্রস্তাব রামদাসের

কংগ্রেসে কার্যত 'কোণঠাসা' অধীর চৌধুরীকে এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন রিপাবলিকান পার্টির সুপ্রিমো রামদাস আঠাওয়ালে।

Advertisement
NDA শিবিরে যোগ দিন, অধীরকে খোলামেলা প্রস্তাব রামদাসের NDA শিবিরে যোগ দিন, অধীরকে খোলামেলা প্রস্তাব রামদাসের
হাইলাইটস
  • অধীর চৌধুরীকে এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন রিপাবলিকান পার্টির সুপ্রিমো রামদাস আঠাওয়ালে
  • লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে হেরেছেন অধীর

কংগ্রেসে কার্যত 'কোণঠাসা' অধীর চৌধুরীকে এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন রিপাবলিকান পার্টির সুপ্রিমো রামদাস আঠাওয়ালে। তিনি বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কারণেই অধীর চৌধুরী কোণঠাসা। কংগ্রেসের এই মনোভাবের কারণে অনেকেই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আমি অধীর রঞ্জন জিকে অনুরোধ করছি যে কংগ্রেসে যদি তাঁকে অপমান করা হয়, তাহলে তাঁর কংগ্রেস ছেড়ে দেওয়া উচিত। আমি তাঁকে এনডিএ বা আমার দল আরপিআই-এ যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।'

লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে হারের পর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেসে কার্যত কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে অধীর চৌধুরী। সম্প্রতি তিনি কংগ্রেস হাইকমান্ডকে নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস হাইকমান্ডের ভূমিকা নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের বৈঠকে তাঁকে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সম্বোধন করায় বেজায় চটেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ।

মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলার পর রাতে ফেসবুক পোস্টে নাম না করে হাই কমান্ডকেই বিঁধেছেন। তিনি মঙ্গলবার বলেন, 'যেদিন মল্লিকার্জুন খাড়গে দলের সভাপতি হন, দলের সংবিধান অনুযায়ী দেশের অন্যান্য সমস্ত পদ অস্থায়ী হয়ে পড়ে। এমনকি আমার পোস্ট অস্থায়ী হয়ে যায়। নির্বাচন চলাকালীন মল্লিকার্জুন খাড়গে টেলিভিশনে বলেছিলেন যে প্রয়োজনে আমাকে বাইরে রাখা হবে, যাতে আমি মর্মাহত হয়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী ফলাফলও দলের জন্য ভাল হয়নি। দলের অস্থায়ী সভাপতি হলেও দায়িত্ব ছিল আমার। এর পরে আমি খাড়গে জিকে বলেছিলাম যে যদি সম্ভব হয় তবে আপনি আমার জায়গায় অন্য কাউকে নিয়ে আসতে পারেন। এর মধ্যে আমাকে এআইসিসি পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতাদের একটি বৈঠক ডাকতে বলেছিল। কারণ দল দুটি প্রস্তাব পাস করতে চায়। সভাটি আমার সভাপতিত্বে ডাকা হয়েছিল এবং আমি তখনও পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলাম। কিন্তু বৈঠক চলাকালীন গুলাম আলি মীর বলেন যে প্রাক্তন সভাপতিও এখানে আছেন। তখন জানতে পারি আমি প্রাক্তন সভাপতি হয়ে গিয়েছি।'

Advertisement

এরপর রাতেই ফেসবুক পোস্টে অধীর লিখেছেন,'আমাদের লোকদের মারছে, যে কর্মীরা রাতদিন তৃণমূলের হাতে মার খেলো, খাচ্ছে, তাদের জন্য আমরা বলবো না তো কে বলবে ? শাসক তৃণমূল আমাদের দল ভাঙছে প্রতিদিন! ওরা তো ‘ইন্ডিয়া’ জোটে সামিল হয়ে আমাদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করেনি ! তৃণমূল তো এ রাজ্যের শাসক দল, তারা কি আমাদের কংগ্রেস কর্মীদের কোনোরকম রেহাই দিয়েছে? আজও জেলে বন্দি আমাদের কর্মী, মিথ্যা মামলায় জর্জরিত,আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে, করছে, বিরাম নেই তো ! তাহলে সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কীকরে চুপ করব, করলে আমার সেই সহকর্মীদের প্রতি অবিচার অন্যায় করা হবে! আমি পারব না। যে কর্মীরা রাতদিন লড়াই করছে, দলের পতাকা নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছে তাদের সাথেও দিল্লি কথা বলুক, তাদের মতামতও জানা দরকার। তাদেরকেও দিল্লিতে ডাকা দরকার। আমি আমার সেই সকল সহকর্মীদের সাথে রাস্তায় থাকব, আন্দোলনের পথে, অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে শিখিনি, করবোও না।' (অসম্পাদিত)

Advertisement