Ratan Tataগত বছরের ৯ অক্টোবর ভারতের শিল্পজগতে নক্ষত্রপতনের দিন। ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ভারতীয় শিল্পপতি রতন টাটার। এর পর সাধারণের মনে দানা বাঁধে অন্য প্রশ্ন। রতন নওল টাটার ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিক কে হবেন, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয় আমজনতার। তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত উইল থেকে জানা যায় যে, তিনি তাঁর প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার মধ্যে বণ্টন করে গেছেন।
রতন টাটার ইচ্ছাপত্র প্রকাশ্যে আসার পর জানা যায় কার জন্য কী রেখে গিয়েছেন রতন টাটা। দেখা যায়, পোষ্য, সহচর, রাঁধুনি— তাঁর উইল থেকে বাদ পড়েননি কেউই। জনহিতকর কাজের জন্যও টাকা রেখে গিয়েছেন তিনি।
দাতব্য সংস্থার প্রতি প্রতিশ্রুতি: রতন টাটা তার সম্পত্তির সিংহভাগ টাটা ফাউন্ডেশনের নামে করে গেছেন, যা জনহিতকর কাজে ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও, টাটা সন্স এবং টাটা গ্রুপের অন্যান্য কোম্পানিতে তার শেয়ারও এই ফাউন্ডেশনে স্থানান্তরিত হবে।
পরিবারের সদস্যদের জন্য বরাদ্দ: তাঁর ভাই জিমি টাটা এবং সৎ বোন শিরিন ও ডিয়ানা জেজিভয়ের জন্যও উইলে সম্পত্তির অংশ রাখা হয়েছে।
কর্মী ও সহকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা: দীর্ঘদিনের রাঁধুনি রাজন সাউ এবং তিন দশকের পরিচারক সুব্বিয়ার নামও উইলে উল্লেখ রয়েছে, তাঁদের জন্যও সম্পত্তির অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে।
পোষা প্রাণীর যত্ন: রতন টাটা তার প্রিয় পোষা কুকুর টিটোর আজীবন ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে গেছেন, যা ভারতে বিরল দৃষ্টান্ত।
বিশেষ সহকারীর প্রতি সম্মান: তাঁর নির্বাহী সহকারী শান্তনু নাইডুর স্টার্টআপ 'গুডফেলোস'-এ তাঁর অংশীদারিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন এবং নাইডুর বিদেশে শিক্ষার জন্য নেওয়া ব্যক্তিগত ঋণও মকুব করেছেন।
স্থাবর সম্পত্তি ও অন্যান্য সম্পদ: রতন টাটার সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মুম্বাইয়ের জুহু তারা রোডে একটি দোতলা বাড়ি, আলিবাগে ২,০০০ বর্গফুটের সমুদ্র তীরবর্তী বাংলো, ব্যাঙ্কে ৩৫০ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত এবং টাটা সন্সের ০.৮৩ শতাংশ শেয়ার। এই উইল প্রকাশ করে রতন টাটা তার জীবনের মানবিক মূল্যবোধ ও উদারতার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন, যা তাকে সত্যিকারের মহান ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।