হঠাৎই গুজরাতের মন্ত্রিসভায় সার্জিকাল স্ট্রাইক করল বিজেপি। সেই রাজ্যের সব মন্ত্রীকে (১৬ জন) পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। আর দলের কথা মান্য করে সব মন্ত্রীই পদত্যাগ করেছেন। শুধু একজনেরই বেঁচে রয়েছে পদ। আর তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। সূত্রের খবর, আজই গঠন করা হবে নতুন ক্যাবিনেট। তাঁরা রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতের কাছে গিয়ে শপথ গ্রহণ করবেন।
কারা থাকবেন নতুন মন্ত্রিসভায়?
আসলে দীপাবলির আগেই গুজরাতে ভূপেন্দ্র প্যাটেলের মন্ত্রীসভায় বদল আনার কাজটা সেরে ফেলতে চাইছে বিজেপি। আর তাতে সায় রয়েছে একদম উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের। যেই কারণে এ দিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলরা বলে খবর।
এখন প্রশ্ন হল, কেন এমনটা করতে চাইছে বিজেপি? এর মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চাইছে তারা? আসুন জানা যাক।
গুজরাতই হল বিজেপির ল্যাবরেটরি
বিজেপির খারাপ সময়ের সঙ্গী গুজরাত। এখান থেকেই তারা রাজনীতির নয়া ধারার দিক খুঁজে নয়। আর এ বারও তেমনটাই দল করতে চলেছে বলে খবর। তারা পুরনো মুখ বাদ দিয়ে নতুন মুখ দিয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করতে চাইছে। এটা তাদের 'নো রিপিট ফর্মুলার' একটা দৃষ্টান্ত। এর মাধ্যমেই তারা বিরোধীদের সব রণকৌশল ভেস্তে দিতে চাইছে। পাশাপাশি সরকার বিরোধী মনোভাবে আনতে চাইছে ভাটা।
পলিটিক্যাল সার্জারি হল?
নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ হলেন গুজরাতের ঘরের ছেলে। তাই এই রাজ্যে ভোটের দিকে সারা দেশের নজর থাকে। আর এখানে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তাই সরকার বিরোধী একটা হাওয়া উঠতে পারে বলেই মনে করছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে বারবারই পলিটিক্যাল সার্জারি করেছে বিজেপি। তাদের তরফে বারবার সরকারের মুখ বদল করা হয়েছে। যেমন এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে বদলে দেওয়া হয়। পরিবর্তন হয় গোটা মন্ত্রীসভার।
আর সেই ফর্মুলাই আবার এখানে কাজে লাগানো হচ্ছে। বদলে দেওয়া হচ্ছে গোটা মন্ত্রীসভা। শুধু বাদ রইলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মিউনিসিপ্যাল ইলেকশনে জেতার প্রস্তুতি
২০২৭ সালের বিধানসভা ভোট গুজরাতে। তার আগে ২০২৬-এর মিউনিসিপ্যাল ভোট পাখির চোখ বিজেপির। আর সেই কারণেই এই রদবদল বলে মনে করছেন অনেকে।
আপ-কংগ্রেসকে আটকানোর গ্যাম্বেল
এতদিন ধরে ক্ষমতায় থাকার ফলে অনেক সেখানে সরকার বিরোধী মত থাকবে। আর সেটাকে কাজে লাগাতে চাইছে বিরোধীরা। এখানে আপ ২০২৪ সাল থেকেই সরব। ও দিকে আবার কংগ্রেসও গুজরাতে নিজের শক্তি বাড়াতে চাইছে। সেখানে বারবার পৌঁছে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। আর সেই জায়গাতেই আঘাত হানতে চাইছে বিজেপি। তাই তারা এই নতুন দান দিয়ে বিরোধীদের পরিকল্পনা ভেঙে দিতে চাইছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।