
দিল্লির লালকেল্লার কাছে সোমবার সন্ধেয় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের দুই বন্ধু, যাদের শেষবার দেখা হয়েছিল লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে।
হাসানপুরের ৫২ বছর বয়সী সার ব্যবসায়ী লোকেশ আগরওয়াল অসুস্থ আত্মীয়ের খোঁজ নিতে রাজধানী এসেছিলেন। তিনি ফোনে ছোটবেলার বন্ধু, মঙ্গরোলার ৩৪ বছর বয়সী অশোক গুজ্জরকে ডেকে নেন। অশোক দিল্লি পরিবহণ সংস্থার (DTC) কন্ডাক্টর। তাঁরা দেখা করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং দু’জনেই ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
পরিবারের সদস্যরা প্রথমে টেলিভিশন থেকে এই ভয়াবহ ঘটনার খবর পান। পরে দিল্লি পুলিশ এবং অমরোহা প্রশাসনের কর্মকর্তা বাড়িতে পৌঁছে পরিবারকে সান্ত্বনা দেন এবং সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন।
বিস্ফোরণের আরও এক শিকার, ২২ বছর বয়সী নওমান, যিনি উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার ঝিঝনহা গ্রামের বাসিন্দা এবং প্রসাধনসামগ্রী ব্যবসায়ী, রাজধানীতে পণ্য কেনার জন্য এসেছিলেন। বিস্ফোরণের সময় তার সঙ্গে ছিলেন আত্মীয় ২১ বছর বয়সী আমান। নওমান ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান, আর আমান আহত হন। নওমানের পরিবার মঙ্গলবার সকালে লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ (LNJP) হাসপাতালে ছুটে আসে।
পুলিশ বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে। গাড়িটির নথি অনুযায়ী এটি হরিয়ানার এবং বহুবার মালিকানা পরিবর্তিত হয়েছে। শেষমেশ গাড়িটি এসেছিল উমর মহম্মদের কাছে, যিনি আদিলের ঘনিষ্ঠ এবং শ্রীনগরের ‘জইশ পোস্টার’ মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের মুহূর্তে গাড়ি চালাচ্ছিল উমর। পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে চালকের পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
সরকারিভাবে এখনও ‘জঙ্গি হামলা’ ঘোষণা করা হয়নি। তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই ‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ (UAPA)-এর আওতায় মামলা দায়ের করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, 'সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'