ধসের জেরে উত্তর সিকিমের একাধিক এলাকায় ধস নেমেছিল। আটকে পড়েছিলেন বহু পর্যটক। কয়েক দিন আগে থেকেই উদ্ধার কার্য শুরু করেছে সেনাবাহিনী। পিটিআই-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর এক অধিকারিক জানিয়েছেন, চাতেনে আটকে পড়া ৬৩ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা নিরাপদে রয়েছেন। হেলিকপ্টারে উদ্ধারকার্য চালানো হয়।
ওই আধিকারিক আরও জানান, এখনও ৬৪ জন আটকে রয়েছেন। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য আজকের মতো উদ্ধারকার্য স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ একটু ঠিক হলেই ফের অপারেশন শুরু হবে। তবে আটকে থাকা পর্যটকদের সাহায্য করছে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনা।
চাতেন মাঙ্গান জেলার ছোটো শহর লাচেনের কাছে অবস্থিত। ভ্রমণকারীরা গুরুদাংমার হ্রদে পৌঁছানোর জন্য চাতেনকে ব্যবহার করে থাকেন। এটিও একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, চাতেন থেকে পাকিয়ং বিমানবন্দরে ৩৯ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেজন্য দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও চারজনকে চিতা হেলিকপ্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরা থেকে সরাসরি চাতেনে পৌঁছয়। সেনার এক আধিকারিক জানান, ২০ জন যাত্রীকে বিমানে তোলা হয়েছে। তাঁরা নিরাপদ রয়েছেন।
উদ্ধার অভিযানের জন্য দুটি এমআই-১৭ ভি ফাইভ হেলিকপ্টার পাকিয়ং বিমানবন্দরে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজন মোতাবেক সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা সজাগ রয়েছেন।
আটকে পড়া পর্যটকদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয় সেজন্য রাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা ত্রাণ সরবরাহ করছেন। তাঁরা সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
গত ১ জুন সন্ধ্যায় চাতেনে একটি সামরিক শিবিরে ভূমিধসের ঘটনায় তিন সেনা সদস্য নিহত হন। ছয় জওয়ান নিখোঁজ এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। নিখোঁজ জওয়ানদের খুঁজে বের করার চেষ্টাও চলছে।