উত্তরকাশীতে টানেলের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকের উদ্ধারকাজে রাতারাতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পাইপ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঢোকানো হয়েছে৷ শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত উন্নত অগার ড্রিলিং মেশিনটি সুড়ঙ্গের মধ্যে জমে থাকা ধ্বংসাবশেষের ২১ মিটার ড্রিল করেছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য প্রায় ৪৫ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত ড্রিলিং চালিয়ে যেতে হবে। মেশিনটি প্রতি ঘণ্টায় ৫ মিটার ড্রিলিং করছে।
উদ্ধার অভিযান ষষ্ঠ দিনে পড়েছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যাতে তাঁরা মানসিক ভাবে সুস্থ থাকেন। শ্রমিকদের কাছে পাইপের মাধ্যমে খাবার, জল এবং অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। ওয়াকি-টকির মাধ্যমে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে তাঁরাও যোগাযোগ রাখছে। টানেলের কাছেই একটি মেডিকেল টিমকে মোতায়েন রাখা হয়েছে। এছাড়াও কাছাকাছি হাসপাতালগুলি স্ট্যান্ডবাইতে রয়েছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী এই অপারেশনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, নতুন ড্রিলিং মেশিনটিকে এয়ারলিফ্ট করে ওই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে তারা। নরওয়ে এবং থাইল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে। গতকালই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, "সমস্ত বিকল্প খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থার মতামত নিচ্ছি।'
ইন্টারন্যাশনাল টানেলিং এবং আন্ডারগ্রাউন্ড স্পেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক আর্নল্ড ডিক্স ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে বলেছেন যে তাঁরা এই উদ্ধার অভিযানে গভীর নজর রাখছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, 'যদি উদ্ধারকাজ প্রভাবিত না হয়, আমি সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য ভারতে লোক পাঠাব। ভারত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টানেলিং দেশগুলির মধ্যে একটি। আমরা ভারতকে সব ধরনের সাহায্যের প্রস্তাব দিচ্ছি। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়, ৪০ জনের জীবন বড় বিপদের মধ্যে রয়েছে।'