রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুম্বই অফিস বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মেল। রাশিয়ান ভাষায় হুমকি মেলটি এসেছে আরবিআই গভর্নরের মেল আইডিতে। হুমকি মেল আসার পরে পুলিশে খবর যায়। এমআরএ মার্গ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এর আগেও গত নভেম্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) কাস্টমার কেয়ার ডিপার্টমেন্টে হুমকির ফোন আসে। সকাল ১০টার দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ার নম্বরে এই কল করা হয়েছিল। ফোনে উপস্থিত ব্যক্তি বলেছিল যে সে লস্কর-ই-তইবার সিইও। 'পিছনের পথ বন্ধ করুন, বৈদ্যুতিক গাড়ি খারাপ হয়ে গেছে', হুমকি দেওয়া ব্যক্তি এই লাইটা বলেই ফোন কেটে দিয়েছিল। লস্কর-ই-তইবা একটি পাকিস্তানি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। যারা ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলা চালিয়েছিল। যা ভারতের সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী হামলাগুলির মধ্যে একটি।
এর আগে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলো ক্রমাগত হুমকি ফোন পাচ্ছিল। যেগুলি বেশিরভাগই বিদেশ থেকে করা হচ্ছিল। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এসব হুমকি কলের তদন্ত করছে। এনআইএ-র সাইবার শাখা পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে। এনআইএ সূত্র বলছে, এইসব কলের উদ্দেশ্য শুধু হুমকিই নয়, ভারতীয় বিমান চলাচল সেক্টরকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করাও। তদন্তকারী সংস্থাগুলি বলছে, বিমানবন্দরের মতো জায়গায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা এবং ক্ষতি করাই এই ধরনের কল করার উদ্দেশ্য।
কিছুদিন আগেই মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এরকমই একটু হুমকি ফোন আসে। তাতে বলা হয়, বিমানবন্দর বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তিরুপতির হোটেল সহ মুম্বই এবং দিল্লির একাধিক স্কুলও গত মাসে হুমকি ফোন পেয়েছিল। পরে সেগুলি ভুয়ো বলে জানিয়ে দেয় পুলিশ। সরকার বারবার জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছে যে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই এবং বিভিন্ন সংস্থা এই সমস্যা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করছে।