scorecardresearch
 

আর অত সহজে ক্রেডিট কার্ড এবং পার্সোনাল লোন পাওয়া যাবে না... নিয়ম কড়া করেছে RBI

বেশিরভাগ ব্যক্তিই কখনও না কখনও ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে 'লোন' নিয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং নন- ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কোম্পানির (NBFCs) মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড এবং পার্সোনাল লোনের মতো অসুরক্ষিত ঋণ মেলে। অর্থাৎ, কোনও বন্ধকী জমা ছাড়াই দ্রুত ঋণ পাওয়া যায়।  তবে, এবার থেকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়া এবং পার্সোনাল লোন নেওয়া তুলনামূলকভাবে কঠিন হয়ে যেতে পারে।

Advertisement
 RBI ने नियमों में बदलाव के साथ रिस्क वेट को 25 प्रतिशत और बढ़ा दिया है RBI ने नियमों में बदलाव के साथ रिस्क वेट को 25 प्रतिशत और बढ़ा दिया है
হাইলাইটস
  • বেশিরভাগ ব্যক্তিই কখনও না কখনও ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে 'লোন' নিয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং নন- ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কোম্পানির (NBFCs) মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড এবং পার্সোনাল লোনের মতো অসুরক্ষিত ঋণ মেলে।
  • এবার থেকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়া এবং পার্সোনাল লোন নেওয়া তুলনামূলকভাবে কঠিন হয়ে যেতে পারে।
  • রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বেশ কিছু নিয়মে কড়াকড়ি এনেছে। ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলির অনিরাপদ ঋণের পোর্টফোলিও সম্পর্কিত নিয়ম কঠোর করেছে আরবিআই।

বেশিরভাগ ব্যক্তিই কখনও না কখনও ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে 'লোন' নিয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং নন- ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কোম্পানির (NBFCs) মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড এবং পার্সোনাল লোনের মতো অসুরক্ষিত ঋণ মেলে। অর্থাৎ, কোনও বন্ধকী জমা ছাড়াই দ্রুত ঋণ পাওয়া যায়।  তবে, এবার থেকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়া এবং পার্সোনাল লোন নেওয়া তুলনামূলকভাবে কঠিন হয়ে যেতে পারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বেশ কিছু নিয়মে কড়াকড়ি এনেছে। ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলির অনিরাপদ ঋণের পোর্টফোলিও সম্পর্কিত নিয়ম কঠোর করেছে আরবিআই।

আরবিআই কোন নিয়মে কড়াকড়ি করেছে?
গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এই অনিরাপদ ঋণের বিষয়ে একটি রিলিজ জারি করে। তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে এবার থেকে ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলিকে অনিরাপদ ঋণ পোর্টফোলিওর জন্য আরও বেশি করে মূলধন আলাদা করে রাখতে হবে। এই মূলধন আগের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। যেখানে আগে ১০০ শতাংশ মূলধন আলাদা রাখতে হচ্ছিল, সেখানে এখন ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্স সংস্থাগুলিকে ১২৫ শতাংশ মূলধন আলাদা রাখতে হবে। ধরুন কোনও ব্যাঙ্ক ৫ লক্ষ টাকা পার্সোনাল লোন দেয়, সেক্ষেত্রে আগে শুধুমাত্র ৫ লক্ষ টাকা আলাদা রাখতে হত। কিন্তু এবার থেকে ব্যাঙ্ককে ২৫ শতাংশ বেশি, ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা আলাদা করে রাখতে হবে।

কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল RBI?
সাম্প্রতিক অতীতে পার্সোনাল লোন ও ক্রেডিট কার্ডের প্রসার দ্রুত হারে বেড়েছে। গত এক বছর, অনিরাপদ ঋণের অনুপাত অনেকটাই বেড়েছে। একইসঙ্গে পার্সোনাল ও ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঋণখেলাপির ঘটনাও বেড়েছে। সময়মতো ঋণ শোধের প্রবণতা কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের ঋণের বিষয়ে নিয়মে কড়াকড়ি করেছে আরবিআই।

আরও পড়ুন

গ্রাহকদের উপর প্রভাব?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ঋণের নিয়মের কারণে, ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্স সংস্থাগুলিকে আলাদাভাবে আরও বেশি করে মূলধন তৈরি রাখতে হবে। এর মানে এটাই যে ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলির কাছে অনিরাপদ ঋণের জন্য কম টাকা থাকবে। এই কারণে গ্রাহকরা এই ধরনের ঋণ নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। এছাড়া ব্যাঙ্ক এবং ABFC-ও কিছু মানদণ্ড নির্ধারণ করতে পারে।

Advertisement

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ঠিক কোন ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। সাধারণত দুই ধরনের ঋণ থাকে- সুরক্ষিত ও অরক্ষিত ঋণ। অসুরক্ষিত ঋণের মধ্যে পড়ে পার্সোনাল লোন এবং ক্রেডিট কার্ড। সুরক্ষিত ঋণের মধ্যে রয়েছে গৃহ ঋণ, গাড়ি ঋণ, স্বর্ণ ঋণ এবং সম্পত্তিগত ঋণ ইত্যাদি। এই ধরনের ঋণ সুরক্ষিত হয় কেন? কারণ এর বিনিময়ে কিছু না কিছু ব্যাঙ্কের কাছে জমা রাখা হয়। RBI-এর এই নিয়মে এই 'সুরক্ষিত' ঋণে কোনও প্রভাব পড়বে না।

Advertisement