Scam Through Facebook: ফেসবুকে বিদেশি সুন্দরীর ফাঁদে অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার, ৫০ লাখ টাকা হাওয়া!

ফেসবুকে বিদেশি সুন্দরীর ফাঁদে পা দিলেন অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। অচেনা মহিলার কথায় বিনিয়োগ করতে গিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হলেন। ব্যবসায় বিপুল মুনাফা করতে গিয়েই এই বিপুল টাকা হারান।

Advertisement
ফেসবুকে বিদেশি সুন্দরীর ফাঁদে অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার, ৫০ লাখ টাকা হাওয়া!প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • ফেসবুকে বিদেশি সুন্দরীর ফাঁদে পা দিলেন অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। অচেনা মহিলার কথায় বিনিয়োগ করতে গিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হলেন।
  • ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবসায় বিপুল মুনাফা করতে গিয়েই এই বিপুল টাকা হারান। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ঘটনা। অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার গোয়ালিয়র ক্রাইম ব্রাঞ্চে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
  • অতিরিক্ত এসপি নিরঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন, কৈলাশ বিহারের বাসিন্দা বিজয় কুমার শর্মা ছত্তিশগড়ের এমপিইবি-তে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

ফেসবুকে বিদেশি সুন্দরীর ফাঁদে পা দিলেন অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। অচেনা মহিলার কথায় বিনিয়োগ করতে গিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হলেন। ব্যবসায় বিপুল মুনাফা করতে গিয়েই এই বিপুল টাকা হারান। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ঘটনা। অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার গোয়ালিয়র ক্রাইম ব্রাঞ্চে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অতিরিক্ত এসপি নিরঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন, কৈলাশ বিহারের বাসিন্দা বিজয় কুমার শর্মা ছত্তিশগড়ের এমপিইবি-তে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। অবসরের পর থেকে তিনি গোয়ালিয়রেই থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ডক্টর লরা আলভিস নামে এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর।

ডাঃ লরা আলভিস চ্যাটে বিজয় কুমারকে বলেন, তিনি ব্রিটেনে একটি ফার্মা কোম্পানিতে কাজ করেন। তাঁর কোম্পানি স্থূলতা কমানোর ওষুধ তৈরি করে। লরা আলভিস বলেন, স্থূলতা কমানোর ওষুধ তৈরিতে একটি ভেষজ পণ্য মেশানো হয়, যা ভারতসহ অন্যান্য দেশে পাওয়া যায়। ভারতের একজন সাপ্লায়ার তাঁর কোম্পানিকে ভেষজ সাপ্লাই করতেন। কিন্তু তিনি হঠাৎ মারা গিয়েছেন। তাই এখন আমরা নতুন সাপ্লায়ার খুঁজছি।

বিজয় কুমার শর্মাকে ওই বিদেশি মহিলা এরপর নতুন সাপ্লায়ার হওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিজয় একজন অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। ব্যবসার কোনও অভিজ্ঞতা নেই। ফার্মা লাইনেও কিছু জানা নেই। তিনি কোথা থেকে সাপ্লাই দেবেন! এর জবাবও দিয়ে দেন লরা। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হায়দরাবাদেই পাওয়া যায়। প্রথমে তার স্যাম্পেল পাঠাতে হবে। সেটা দেখতে কোম্পানির একজন লোক ভারতে আসবে। ইনস্পেকশনে পাস হওয়ার পরেই বড় সাপ্লাইয়ের অর্ডার দেওয়া হবে।

এরপরেই বড় ব্য়বসা শুরু করার লোভে তালজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বিজয়। রাজি হয়ে যান। প্রথমে ৮ লাখ টাকায় ৮টি স্যাম্পেল কেনেন। সেগুলি মহিলার সংস্থার প্রতিনিধি পাসও করেন। এরপর লরা আলভিসের পরামর্শে ডক্টর বিজয় কুমার শর্মা আরও ৪০টি স্যাম্পেল কেনেন।

বিজয় শর্মা প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার স্যাম্পেল কেনেন। কিন্তু এবার আর কোম্পানির কাছ থেকে কোনও অর্ডার পাননি। এরপরেই তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর গোয়ালিয়র ক্রাইম ব্রাঞ্চে অভিযোগ দায়ের করেন। গোয়ালিয়র ক্রাইম ব্রাঞ্চ আইটি আইনের ৪২০ এবং ৬৬ নম্বর ধারার অধীনে একটি FIR নথিভুক্ত করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement