বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের মুম্বাই ফ্ল্যাটে হামলার ঘটনায় তদন্তে উঠে এসেছে এক বাংলাদেশি নাগরিকের নাম, যিনি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে পরিচিত এই ব্যক্তি ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিম কার্ড সংগ্রহ করেছিলেন বলে জানা গেছে।
হামলার বিবরণ
১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সইফ আলি খানের মুম্বাই ফ্ল্যাটে ঢুকে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। অনুপ্রবেশকারী ও পরিবারের এক কর্মচারীর মধ্যে উত্তপ্ত তর্ক চলার সময় সইফ তা থামাতে গেলে হামলাকারী তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। অভিনেতার পিঠ, কব্জি, ঘাড়, কাঁধ ও কনুইয়ে গুরুতর আঘাত লাগে। তাকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে অস্ত্রোপচার করা হয় এবং পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গের যোগসূত্র
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে একটি ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে সিম কার্ড সংগ্রহ করেছিল। আত্মীয় ছাড়াও খুকুমণি জাহাঙ্গীর শেখ নামে এক মহিলার পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও ওই মহিলা দাবি করেছেন যে তার ফোন চুরি গিয়েছিল এবং তিনি এই ঘটনায় জড়িত নন।
অভিযুক্তের গ্রেফতার
মুম্বাই পুলিশের দল পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে অভিযুক্তের আত্মীয় ও সংশ্লিষ্ট মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এরপর অভিযুক্তকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম ২০২৪ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং বিজয় দাস নামে ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করছিল।
তদন্তের অগ্রগতি
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সম্পূর্ণ একাই সইফ আলি খানের বাড়িতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তের গতিবিধি নিশ্চিত হয়েছে, এবং পুলিশ তার পরিচয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। অভিযুক্ত ভারতে প্রবেশের সময় এক এজেন্টের সাহায্য নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে, তবে তদন্ত এখনও চলছে।