দেশের প্রধান ও বড় বড় শহরগুলোতে বসবাস করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে মধ্যবিত্তদের কাছে। কারণ ঘরভাড়া। একটি প্রতিবেদন অনুসারে অনেক মেট্রো শহরে গড় বেতন ৩০ হাজার টাকা। অথচ ঘরভাড়া প্রায় ২০ হাজার। অর্থাৎ রোজগারের প্রায় ৭০ শতাংশ টাকা খরচ হচ্ছে ঘরভাড়াতে।
লিঙ্কডিনে এই নিয়ে একটি তথ্য শেয়ার করেছেন এই সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ সুজয় ইউ। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের মেট্রোপলিটন সিটিগুলোতে মধ্যবিত্তদের থাকা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ, ঘরভাড়া ও লাইফস্টাইল। কোনও ব্যক্তিকে থাকার জন্য এত বেশি খরচ করতে হচ্ছে যে তাঁর জীবধারণ করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
উদাহরণ তুলে ধরে তিনি জানান, মুম্বই-সহ আরও অনেক বড় শহরে একজন ব্যক্তির গড় বেতন ২৫ হাজার টাকা মতো। সেখানে একটি ওয়ান বিএইচকে ঘরের ভাড়া ২০ হাজার। দেখেশুনে নেটিজেনদের প্রশ্ন, একজন মানুষকে রোজগারের প্রায় সব টাকা তুলে দিতে হয় ভাড়ার জন্য। তাহলে তিনি জীবন ধারণ করবেন কীভাবে?
ওই বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ঘরভাড়া সবথেকে বেশি গুণতে হয় মুম্বই শহরে। অথচ সেখানে যাওয়া আসার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের খরচও বেশি। ফলে মাত্র ৩০ হাজার টাকা আয় করেও অভাবে কাটাতে হয়।
বাকি শহরগুলোর পরিস্থিতি মুম্বইয়ের থেকে সামান্য ভালো। তবে ঘরভাড়া বাবদ যথেষ্ট টাকা খরচ হয়। যেমন বেঙ্গালুরুতে একজনের গড় বেতন ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সেখানেও ঘরভাড়া প্রায় ২০ হাজার টাকা। তাও একটি রুম। দিল্লি, আহমেদাবাদ বা হায়দরাবাদের পরিস্থিতিও খুব একটা আলাদা নয়। ওই শহরগুলিতেও গড় বেতনের অর্ধেকেরও বেশি টাকা ভাড়া হিসেবে গুণতে হয়।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, ওই সব শহরে গত কয়েক বছরে কর্মসংস্থান বেড়েছে। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বহুতলও। তবে গড় বেতন বাড়েনি বললেই চলে। তার জেরে সবথেকে সমস্যায় পড়েছে মধ্যবিত্তরা।
দেখেশুনে অনেকেই এখন ছোটো শহরে চাকরি করার পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁদের দাবি, ছোটো শহরে গত বেতন সেই অর্থে অনেকটা কম না হলেও ঘরভাড়া কম। বড় শহরে সাশ্রয়ের সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে, তবে ছোটো শহরে খরচ কম হওয়ায় টাকাও বাঁচানো যায়।