জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক কথা বললেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। ২৮ মিনিটের এই কথোপকথনে পুলওয়ামা, কৃষক আন্দোলন, এমএসপি, জাতিশুমারি, মণিপুরে সহিংসতা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। রাহুল গান্ধিকে সত্যপাল বলেন, 'নির্বাচনের আর মাত্র ৬ মাস বাকি। আমি লিখিতভাবে দিচ্ছি যে (মোদী সরকার) ক্ষমতায় ফিরবে না।' জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কী বললেন মালিক? তিনি বলেন, 'জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে জোর করে কিছু করা যাবে না। সেখানকার মানুষের মন জয় করে আপনি অনেককিছু করতে পারেন।'
মালিকের মতে, জম্মু ও কাশ্মীরের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। তাঁর মতে, মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে ভয় পেয়েছিল। অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেবেন। তাই তাদের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া এবং সেখানে নির্বাচন করানো।
সত্যপাল বলেন, 'আমি জানি না এই লোকেরা কেন রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিচ্ছে না। আমি বলেছিলাম যে, রাষ্ট্রীয়তা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। সেখানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বেড়েছে। জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজৌরিতে প্রতিদিনই কোনও না কোনও ঘটনা ঘটে।'
পুলওয়ামা হামলা নিয়ে কী বললেন মালিক?
সত্যপাল মালিক বলেন, 'আমি বলব না যে, পুলওয়ামা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। তবে আমার মনে হয়েছে, সরকার এই হামলায় ততটা নজর দেয়নি যতটা দরকার ছিল। বরং এই হামলাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারও করেছেন।'
সত্যপাল মালিক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর শ্রীনগর যাওয়া উচিত ছিল। সেখানে এসেছিলেন রাজনাথ সিং। আমি সেখানে ছিলাম। আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। যেদিন এই ঘটনা ঘটে, সেদিন তিনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) শুটিং করছিলেন। তাই আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোন কথা হয়নি। ৫-৬টায় ফোন এল। ঘটনার কথা বললাম। আমি বললাম, আমাদের ভুলের কারণে এত মানুষ মারা গেছে। তখন তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে কিছু বলতে হবে না। এর পর ডোভালের ফোন পেলাম, তিনি বললেন, তোমাকে কিছু বলতে হবে না। আমি বললাম ঠিক আছে...।'
RSS-এর আদর্শ নিয়ে কী বললেন মালিক? রাহুল কথোপকথনে বলেন, 'আমি মনে করি ভারতীয় রাজনীতিতে দুটি মতাদর্শের মধ্যে লড়াই চলছে। একটি গান্ধীবাদী এবং অন্যটি RSS-এর। দুটোই হিন্দুত্বের দর্শন। আছে অহিংসা ও ভ্রাতৃত্বের আদর্শ। দ্বিতীয়ত, ঘৃণা ও অহিংসার... এ বিষয়ে আপনার কী বলার আছে?'
মালিক আবার নতুন সংসদ ভবনের প্রসঙ্গেও বলেন। তিনি বলেন, 'নতুন ভবনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী এমন কিছু করতে চাইছিলেন যে দেখে মনে হয়, অনেক কাজ করেছেন। পুরোনো ভবন আরও বেশিদিন চলত।'