Satyapal Malik Passes Away: প্রয়াত জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। মঙ্গলবার দুপুর ১.১২ টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।দীর্ঘ দিন ধরেই কিডনির রোগে ভুগছিলেন। গত ১১ মে তাঁকে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া(RML) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত জুন মাসে তিনি 'অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর' লিখে X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন।
সত্যপাল মালিক ২০১৮ সালের অগাস্ট থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের শেষ রাজ্যপাল ছিলেন। তাঁর আমলেই ৫ অগাস্ট ২০১৯, ৩৭০ ধারা বাতিল হয়। জম্মু ও কাশ্মীর দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হয়, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ।
৩৭০ ধারা বাতিলের ষষ্ঠ বার্ষিকীর দিনই প্রয়াণ
কাকতালীয়ভাবে, আজ তারই ষষ্ঠ বার্ষিকী। আর সেই দিনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সত্যপাল মালিক।
জম্মু ও কাশ্মীর দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগের পর, সত্যপাল মালিক গোয়ার ১৮তম রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মেঘালয়ের ২১তম রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র রাজনীতি দিয়ে হাতেখড়ি
১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে সত্যপাল মালিকের রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ছাত্রনেতা হিসেবেই হাতেখড়ি। সেই সময় তিনি বিভিন্ন স্থানীয় রাজনৈতিক দলে ছিলেন। পরে ফুল টাইম রাজনীতিতে আসেন। চৌধুরী চরণ সিংয়ের ভারতীয় ক্রান্তি দল, কংগ্রেস এবং ভিপি সিংয়ের নেতৃত্বাধীন জনতা দল এবং সবশেষে ২০০৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন।
চৌধুরী চরণ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। ১৯৭৪ সালে তাঁর হাত ধরেই প্রথমবার ভোটে দাঁড়ান। নির্বাচনে জেতেনও। বাগপত থেকে MLA নির্বাচিত হন। পরে তিনি চরণ সিংয়ের সঙ্গেই লোকদলে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়।
১৯৮০ সালে, সত্যপাল মালিক রাজ্যসভায় এমপি হন। ১৯৮৪ সালে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। তারপর ফের কংগ্রেসের হয়ে ১৯৮৬ সালে রাজ্যসভায় ফেরেন।
কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ
রাজীব গান্ধীর আমলে বোফর্স কেলেঙ্কারির পর, ১৯৮৭ সালে সত্যপাল মালিক কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ভিপি সিংয়ের জনতা দলে যোগ দেন। ১৯৮৯ সালে, তিনি জনতা দলের প্রার্থী হিসেবে আলিগড় থেকে লোকসভা আসনে জিতেছিলেন। এরপর তাঁকে সংসদীয় বিষয়ক ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিজেপিতে যোগ
২০০৪ সালে সত্যপাল মালিক অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু বাগপতে আরএলডি প্রধান অজিত সিংয়ের বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে হেরে যান।
মোদী সরকারের প্রথম মেয়াদে, সত্যপাল মালিক ভূমি অধিগ্রহণ বিল পর্যালোচনার বিশেষ সংসদীয় প্যানেলের প্রধান ছিলেন। তাঁর প্যানেল এই বিলের বিরোধিতা করেছিল। এরপর সরকার সেই বিল বাতিল করে দেয়।
রাজ্যপালের পদ ছাড়ার পর, সাম্প্রতিক অতীতে তিনি একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছেন। কৃষক আন্দোলনের প্রতি যেমন সমর্থন দেখিয়েছেন, তেমনই ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা নিয়েও গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন।