একের পর এক ফ্লাইটে বিপত্তি। এবার লখনউ বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হল সৌদি এয়ারলাইন্সের উড়ান। বিমানে ছিলেন ২৫০ জন হজ যাত্রী। জানা গিয়েছে, রবিবার বিমানটি চৌধুরী চরণ সিং এয়ারপোর্টে অবতরণের সময়ে চাকার সামনে থেকে আচমকাই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তড়িঘড়ি বিমানটি থামিয়ে ATC-তে খবর দেন পাইলট।
নির্দিষ্ট স্থানের বদলে পাইলট এয়ারক্রাফ্টটিকে নিয়ে পিছন দিকে ঠেলে নিয়ে যান। ট্যাক্সি বে-এর সামনে গিয়ে থামার এয়ারক্রাফ্টটি। সেখানেই নিরাপদে অবতরণ করানো হয় সমস্ত যাত্রীদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এয়ারপোর্টের দমকল বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা।
তবে মিনিট ২০ ওই ধোঁয়া নির্গত হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যাত্রীরা। আহমেদাবাদের ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এ হেন বিপত্তি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে লখনউ বিমানবন্দরে।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে হজ যাত্রীদের নিয়ে লখনউয়ের উদ্দেশে রওনা নিয়েছিল বিমানটি। রবিবার ভোর ৬.৩০ মিনিটে বিমানটির অবতরণের কথা ছিল।
এয়ারপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্লাইটটির বাঁ দিকের চাকা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ল্যান্ডিংয়ের সময়েই যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। ইঞ্জিনিয়াররা ইস্যুটি ঠিক করার চেষ্টা করেছেন। তবে জানা গিয়েছে, গলদ সারাতে রাত ৯.৩০ বেজে যায়। মূলত হাইড্রলিক লিকেজের জন্যই এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাইলটের তৎপরতাতেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।