BLO হুমকি নিয়ে চিন্তিত সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশনকে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে চলছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR। আর SIR-এর কাজ করতে গিয়ে BLO-রা হুমকির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ। আর এই থ্রেটের বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে এই ধরনের কাজকর্মের দিকে নজর রাখতে বলেছে। এমন ঘটনা চোখে পড়লে কোর্টের সামনে আনতে বলেছে। পাশাপাশি তাঁদের মন্তব্য, এমন হুমকির সংস্কৃতি 'নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে'।

Advertisement
BLO হুমকি নিয়ে চিন্তিত সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশনকে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টেরসুপ্রিম কোর্ট
হাইলাইটস
  • পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে চলছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR
  • SIR-এর কাজ করতে গিয়ে BLO-রা হুমকির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ
  • দেশের সর্বোচ্চ কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে এই ধরনের কাজকর্মের দিকে নজর রাখতে বলেছে

পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে চলছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR। আর SIR-এর কাজ করতে গিয়ে BLO-রা হুমকির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ। আর এই থ্রেটের বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে এই ধরনের কাজকর্মের দিকে নজর রাখতে বলেছে। এমন ঘটনা চোখে পড়লে কোর্টের সামনে আনতে বলেছে। পাশাপাশি তাঁদের মন্তব্য, এমন হুমকির সংস্কৃতি 'নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে'।

দেশের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এ দিন ইলেকশন কমিশনকে এই দিকটায় নজর দেওয়ার পরামর্শ দেয়। তাদের মতে, এসআইআর প্রক্রিয়ায় অনেক রাজ্য সরকারই সহযোগিতা করছে না। আর সেই দিকে কমিশনকে নজর রাখতে হবে।

এই বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাকেশ দ্বিবেদীকে বলেছেন, 'সহযোগিতার অভাব, বিএলওদের কাজে বাধার উদাহরণ পেলেই আমাদের নজরে আনুন। আমরা যথাযথ আদেশ দেব।'

এই সময় কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বিবেদী জানান, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কমিশনের কাছে পুলিশকে ডেপুটেশনের অধীনে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না। কারণ, রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে রয়েছে পুলিশ।

এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বাগচি আবার কমিশনের সঙ্গে সহমত হননি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত পুলিশকে অধীনে নেওয়া যাবে না।

দ্বিবেদী বলেন, 'এসআইআর-এর কাজে নিয়োজিত বিএলও এবং অন্যান্য আধিকারিকদের হুমকির সম্মুখীন হওয়ার ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য কমিশনের সমস্ত সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে।

এই কথা শুনে পরিস্থিতিকে 'খুব গুরুতর' বলে মনে করেন বিচারপতি কান্ত। তিনি দ্বিবেদীকে বলেন, 'পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করুন। নইলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।'

এই সময় দ্বিবেদী অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে বিএলওদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এসআইআর-এর জন্য মাত্র ৬ থেকে ৭টা বাড়িতে ৩০ থেকে ৩৫ ভোটারের কাজ করতেই তারা চাপে পড়ে যাচ্ছে। তখন বিচারপতি বাগচি বলেন, 'এটা ডেস্কে বসে থাকার কাজ নয়। বিএলওদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। এনুমারেশন ফর্ম ফিল করতে হবে। তারপর করতে হবে আপলোড।' তাই তিনি বলেন, 'এটা এতটাও সহজ কাজ নয়, যেটা দেখে মনে হচ্ছে।'

Advertisement

অভিজ্ঞ আইনজীবী ভি গিরি, আবেদনকারী সনাতনি সংসদ এবং অন্যদের পক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে আবেদনকারীরা SIR কাজে নিযুক্ত BLO এবং অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ করেছেন। তাদের সুরক্ষার জন্য ইলেকশন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

POST A COMMENT
Advertisement