চিনের জিপিএস লাগানো সিগাল পাখির দেখা মিলল কর্নাটকের কারওয়ার উপকূলে। আইএনএস কদম্ব নৌঘাঁটির কাছে পরিযায়ী সিগাল পাখিটি দেখা যায়। উত্তর কন্নড় জেলার টিম্মাক্কা গার্ডেনের কাছে স্থানীয়রা পাখির পিঠে লাগানো অস্বাভাবিক একটি যন্ত্র দেখতে পান। এরপর তারা বন বিভাগের সামুদ্রিক বিভাগকে সতর্ক করেন।
প্রাথমিক পরীক্ষার পর, আধিকারিকেরা জিপিএস ট্র্যাকারটি দেখতে পান। এটি চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের অধীনে রিসার্চ সেন্টার ফর ইকো-এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের। বন বিভাগের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, গবেষকরা সাধারণত এই ধরনের ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করে পরিযায়ী পাখি, যেমন সিগাল, তাদের চলাচলের ধরন, খাবারের আচরণ এবং অভিবাসন পথ অধ্যয়ন করেন।
কারওয়ারের বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক দীপন এমএন বলেন, তারা জিপিএস ট্র্যাকার সম্পর্কিত বিশদ যাচাই করছেন।
জিপিএস ডিভাইস থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে যে কর্ণাটক উপকূলে পৌঁছনোর আগে সিগালটি আর্কটিক অঞ্চল সহ ১০,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ উড়ে এসেছে।
গবেষণা নাকি গুপ্তচরবৃত্তি?
বন বিভাগের আধিকারিকদের ভাবাচ্ছে গবেষণা নাকি গুপ্তচরবৃত্তির জন্য সিগালটি পাঠআনো হয়েছে? প্রাথমিক অনুসন্ধানে মনে করা হয়, ডিভাইসটি কোনও গবেষণা প্রকল্পের অংশ হতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনও গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে, অন্য কোনও সম্ভাবনা বাদ দেওয়ার জন্য জিপিএস ডিভাইসটি প্রযুক্তিগত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
"বর্তমানে, এটি একটি পরিযায়ী পাখি গবেষণার অংশ বলে মনে হচ্ছে। বিস্তারিত যাচাইয়ের পর আমরা ফলাফল নিশ্চিত করব," কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
একই সময়ে, আধিকারিকেরা গবেষণার উৎপত্তি, সময়সীমা এবং পরিধি সহ গবেষণার বিশদ বিবরণ নিশ্চিত করার জন্য চিনের ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন।
এটি সেই স্থান যেখানে পাখিটি পাওয়া গিয়েছিল, তা একাধিক সংস্থার উল্লেখযোগ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
আইএনএস কদম্ব নৌঘাঁটি ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্যতম কৌশলগত স্থাপনা। এখানে বিমানবাহী রণতরী এবং সাবমেরিন সহ গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। চলমান সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর, আইএনএস কদম্ব পূর্ব গোলার্ধের বৃহত্তম নৌঘাঁটি হবে।
তবে, এই অঞ্চলে এই ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে, কারওয়ারের বৈথকোল বন্দরের কাছে ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগানো একটি যুদ্ধ ঈগল দেখা গিয়েছিল। তবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি বন্যপ্রাণী গবেষণার সাথে সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।