উমর নবির বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হল দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় বড়সড় পদক্ষেপ। IED ব্লাস্ট করে উড়িয়ে দেওয়া হল জঙ্গি উমর নবির বাড়ি। দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে গত ১০ নভেম্বর গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল এই জঙ্গিই। আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ছিল তার বাড়ি। সেটিই উড়িয়ে দিল নিরাপত্তা এজেন্সি।
জানা গিয়েছে, এই অ্যাকশন বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোররাতের মধ্যে নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি। যে হুন্ডাই i20 গাড়িতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, সেটিতে উমরই ছিল তার প্রমাণ মিলেছে। ম্যাচ হয়েছে তার DNA। এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ২০ জন। ডা: উমর-উন-নবি ছিল কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক।
এই যুবক কাশ্মীর, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে ঘোরাফেরা করত। তবে তার প্ল্যান ভেস্তে যায় সঙ্গী ডা: মুজাম্মিল শাকিল ধরা পড়ায়। এই মুজ্জামিল আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তার ঘর থেকে উদ্ধার হয় ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। মনে করা হচ্ছে, এই গ্রেফতারির পর উমর প্যানিক করে যায় এবং বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে লালকেল্লার সামনে পৌঁছে যায়।
সূত্রের খবর, উমর অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল তবে বেশিরভাগ সময়েই চুপচাপ থাকত। ডা: শাকিলের সঙ্গে তুরস্ক গিয়েছিল ২০২১ সালে। তারপর থেকেই নীতি-আদর্শ বদলে যায় তার। সে সময়ে তুরস্ক জইশ-ই-মহম্মদের নিষিদ্ধ হওয়া কিছু নীচুস্তরের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাদের। ফেরার পর উমর ধীরে ধীরে অস্ত্র এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম যেমন, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, পটাশিয়াম নাইট্রেট এবং সালফার জোগাড় করতে শুরু করে। সেগুলি আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়েই লুকিয়ে রাখত সে। তদন্তকারীদের অনুমান, উমর এমন একটি বিস্ফোরক বানাচ্ছিল যা গাড়িতে লাগানো যায়। অনলাইনে পাওয়া সোর্স থেকেই এটি তৈরি করা শিখছিল সে।
গত ১০ নভেম্বর ফরিদাবাদ পুলিশের ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই উমর প্যানিক করে গিয়েছিল বলে অনুমান। দিল্লির একটি মসজিদে বেশ কয়েক ঘণ্টা বসেছিল সে। তারপরই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। গাড়িতে অর্ধেক তৈরি হওয়া বিস্ফোরক ছিল সঙ্গে। সেটি সঠিক ভাবে ইনস্টলও করা ছিল না বলে খবর।