মাওবাদী দমন অভিযানে ফের সাফল্য এল ছত্তীশগড়ে। বীজাপুর জেলায় মাওবাদী শীর্ষ নেতার দেহ উদ্ধার করা হল। এনকাউন্টারে ওই মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একে-৪৭ রাইফেল ও বিস্ফোরক।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দেহটি মাওবাদী নেতা ভাস্কর রাও ওরফে মাইলারাপু আদেল্লুর। তিনি সিপিআই (মাওবাদী)-র তেলঙ্গানা স্টেট কমিটির সদস্য ছিলেন। জানা গিয়েছে, তেলঙ্গানার আদিলাবাদ জেলার বাসিন্দা ছিলেন ভাস্কর। তেলঙ্গানা স্টেট কমিটির স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। তাঁর মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল ৪৫ লক্ষ টাকা।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার গৌতম ওরফে সুধাকর নামে সেন্ট্রাল কমিটির এক সদস্যের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধার করা হয় একে-৪৭ রাইফেল।
সম্প্রতি ছত্তীশগড়ের অবুঝমাড়ে এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত হন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ। এই অভিযানকে ভারতের মাওবাদী নির্মূল অভিযানের ক্ষেত্রে বড় সাফল্য মনে করছে প্রশাসন। শীর্ষনেতার মৃত্যু মাওবাদীদের কাছেও বিরাট ধাক্কা। এবার তাদের সংগঠনকে কে নেতৃত্ব দেবে, বাসবরাজের স্থানে কে বসবে, সেই নিয়ে হিসেব নিকেশ চলছে।
ছত্তীশগড় পুলিশের DGP আরকে বীজ বলেছিলেন, 'বাসবরাজ কোনও সাধারণ মাওবাদী ছিলেন না। অন্ধ্রপ্রদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রপআউট বাসবরাজ ২০১৮ সালে গণপতির স্থান নিয়েছিলেন। দলের সাংগঠনিক রাজনীতিকে সশস্ত্র আন্দোলনের পথে চালিত করেছিলেন তিনি। শুধুমাত্র নামে কমান্ডার নন, ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী উগ্রপন্থী সংগঠনের প্রধান ছিলেন।' পুলিশ কর্তার আরও বক্তব্য, 'এত কড়া সুরক্ষা বলয়ে চলাফেরা করা দলের সাধারণ সম্পাদক, যাঁর আশপাশে ৬০-৭০ জন সশস্ত্র মাওবাদী ঘিরে থাকত, তার মৃত্যু প্রমাণ করছে আমাদের ইন্টালিজেন্স অত্যন্ত শক্তিশালী। এর প্রভাব মাওবাদী ক্যাডারদের উপর পড়েছে। এতে আত্মসমর্পণের পালা বাড়বে।'