Shashi Tharoor Controversy: রবিবার কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা কে. মুরলীধরন একটি বড় বিবৃতি দিয়ে বলেছেন যে শশী থারুর জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে তার অবস্থান পরিবর্তন না করলে, তাকে তিরুবনন্তপুরমে কোনও দলীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।
সংস্থাটির মতে, কংগ্রেস নেতা মুরলীধরনও স্পষ্ট করে বলেছেন যে শশী থারুর আর 'আমাদের' নন। তিনি বলেছেন যে থারুর অবশ্যই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) সদস্য, তবে তার সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং অবস্থান দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তিনি বলেন যে তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই, তাই তাকে বয়কট করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
এই বিবৃতিটি তখন সামনে এসেছে, যখন সংবাদমাধ্যম মুরলীধরনকে শশী থারুরের সেই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করে যেখানে তিনি বলেছিলেন যে 'দেশ সবার আগে আসে এবং দল দেশকে উন্নত করার একটি মাধ্যম।'
শশী থারুর কী বললেন?
কোচিতে এক অনুষ্ঠানে শশী থারুর বলেছিলেন যে দেশ ও সীমান্ত সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে তিনি সশস্ত্র বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন করেছেন বলে অনেকেই তার সমালোচনা করছেন। শশী থারুর আরও বলেন যে আমি আমার অবস্থানে অটল থাকব, কারণ আমি মনে করি এটি জাতীয় স্বার্থে সঠিক। তিনি আরও যোগ করেছেন যে যখন কেউ জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অন্য দলের সঙ্গে সহযোগিতার কথা বলে, তখন তার নিজের দল এটিকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করে, যা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
কে. মুরলীধরন এর আগেও থারুরকে টার্গেট করেন
আমরা আপনাকে বলি যে কে. মুরলীধরন এর আগেও থারুরকে লক্ষ্য করেছিলেন, বিশেষ করে যখন থারুর একটি মত পোষণ করেছিলেন যেখানে তাকে ইউডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) থেকে কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময় মুরলীধরন বলেছিলেন যে, প্রথমে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি কোন দলের।
'থারুরের উচিত তার রাজনৈতিক পথ পরিষ্কার করা'
জরুরি অবস্থার সময় শশী থারুর একটি মালায়ালাম সংবাদপত্রে ইন্দিরা গান্ধীর সমালোচনা করে একটি নিবন্ধ লেখার পর দলের মধ্যে এই বিতর্ক আরও তীব্র হয়। মুরলীধরনও এই বিষয়ে থারুরের উপর আক্রমণ করে বলেন যে, যদি তিনি কংগ্রেসের ভেতরে অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে তার রাজনৈতিক পথ স্পষ্ট করা উচিত।
কখন থেকে এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়?
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর শশী থারুরের বক্তব্যের কারণে কংগ্রেস নেতৃত্বের সাথে এই দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়ে ওঠে, যা দলীয় লাইনের বিরুদ্ধে বলে মনে করা হত এবং যার কারণে দলকে প্রতিরক্ষামূলক ভঙ্গি গ্রহণ করতে হয়েছিল। এই ঘটনা ইঙ্গিত দেয় যে কংগ্রেসের মধ্যে আদর্শ এবং নেতৃত্ব নিয়ে গভীর দ্বন্দ্ব চলছে।