মোদী সরকারের প্রশংসায় শশী থারুর। ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে তিনি খুশি, জানালেন কংগ্রেস সাংসদ। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে একটি সেলফিও তুললেন। তবে মোদী সরকারের প্রশংসা, পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে ছবি অনেকেই নেহাত সৌজন্য হিসাবে মানতে পারছেন না। রীতিমতো তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছেন অনেকে। যদিও এমন কিছুই বলেননি শশী থারুর।
ঘটনার সূত্রপাত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি থেকে। হাসিমুখে পীযূষ গোয়েলের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি শশী থারুরের। একসময় এই পীযূষ গোয়েলই বলেছিলেন, তিনি শশী থারুরের 'বিদেশি উচ্চারণ' বুঝতে পারেন না।
আলোচ্য টুইটে শশী থারুর লেখেন, 'ব্রিটেনের বিজনেস সেক্রেটারি জনাথন রেনল্ডস ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বহুদিন ধরে আটকে থাকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়ে আলোচনায় নতুন করে গতি এসেছে। এটাকে স্বাগত জানাই।'
তবে থারুরের এই অবস্থান কংগ্রেস নেতৃত্বের সম্ভবত পছন্দ হয়নি। এর আগেও তিনি কেরলের বাম সরকারকে ব্যবসার পরিবেশ সহজতর করার জন্য প্রশংসা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠককেও স্বাগত জানিয়েছিলেন শশী থারুর।
উল্লেখ্য, এর আগে কেরল কংগ্রেসে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন শশী থারুর। সেই সময়েও কংগ্রেস কর্মীদের একাংশের তাঁর এই মন্তব্য পছন্দ হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শশী থারুরের এই মনোভাব নেহাতই সৌজন্য হিসাবে নিতে পারছে না দলীয় নেতৃত্ব।
যদিও কংগ্রেস ছাড়ার সমস্ত জল্পনাই নাকচ করেছেন শশী থারুর। তবে তাঁর পরের মন্তব্যটিও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, 'দল যদি আমাকে চায়, আমি থাকব। না চাইলে আমার করার অনেক কিছু আছে। মনে করবেন না আমার বিকল্প নেই।'
এই পরিস্থিতিতে কেরলের সিপিআই(এম) নেতা থমাস আইজ্যাক জানিয়ে দেন, দল ছাড়লে কেরলের রাজনীতিতে থারুর 'অনাথ' থাকবেন না।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের বিপর্যয়ের পর কংগ্রেসের নেতৃত্বে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন শশী থারুর। তিনি ছিলেন 'G-23' গোষ্ঠীর অন্যতম মুখ।