৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে আম আদমি পার্টি-কে সমর্থন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের হয়ে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে। আর প্রচারে নেমেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন 'বিহারীবাবু'। প্রধানমন্ত্রীকে প্রচারমন্ত্রী বললেন তিনি।
প্রথম জীবনে বিজেপি, তারপর কংগ্রেস ঘুরে এখন তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন শত্রুঘ্ন। পুরোনো দল বিজেপির বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই আক্রমণ শানিয়ে থাকেন তিনি। রবিবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখলেন। অতিশী মারলেনার হয়ে প্রচারে নেমে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারাদিনের ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা প্রচার করেন। তাই তাঁকে প্রচারমন্ত্রী বলা উচিত।
শত্রুঘ্নর কথায়, 'তিনি আমার বন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী। বলা হয়ে থাকে তিনি দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন। তবে তার মধ্যে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা তো ব্যায় করেন পার্টর প্রোমোশনের জন্য। লোকসভা, বিধানসভা থেকে শুরু করে কাউন্সিলর ভোটেও তিনি প্রচারপর্ব চালিয়ে থাকেন। সব জায়গায় চলে যান।'
শত্রুঘ্নর অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে কৃষকদের, সাধারণ মানুষকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তবে ভোট মিটে যাওয়ার পর তা আর পূরণ করা হয়নি। শত্রুঘ্ন বলেন, 'কৃষকের দৈনিক আয় আগে ৩২ টাকা ছিল। এখন কমে হয়েছে ২৭ টাকা। তাদের সংসার কীভাবে চলবে?'
প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানকেও উপহাস করেন তিনি। বলেন, 'আমি মন কি বাত করছি না। মানুষ মন কি বাত নিয়ে বিরক্ত। আমি আপনাদের বলছি আমার দিল কি বাত। আমার মতে অতীশি একজন যোগ্য প্রার্থী।'
২০২৫ সালের বাজেটের সমালোচনা করেন শত্রুঘ্ন। তাঁর মতে, কর ছাড়ের যে ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষেক কোনও লাভ হবে না। উপকৃত হবেন খুব অল্প সংখ্যক মানুষ। তাই একে মানুষের বাজেট বলা যাবে না। বিহারের জন্য কিছু প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেই সব প্রকল্পের ফলে সাধারণ মানুষ সরাসরি কোনও লাভ পাবেন না।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। ৭০ আসন বিশিষ্ট এই বিধানসভায় কড়া টক্কর হওয়ার কথা বিজেপি ও আম আদমি পার্টির মধ্যে। ময়দানে রয়েছে কংগ্রেসও। ভোটের ফলাফল সামনে আসবে ৮ ফেব্রুয়ারি।